ইন্টারনেট সেন্সরশিপ এবং নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুর পরে ইরানে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার কারণে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের কর্মকর্তা এবং সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে ইরানে ইমামদের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সব চেয়ে সাহসী চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইসলামিক রেভিউলেশানারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) কর্মকর্তা, প্রাদেশিক এবং ইরানের কারাগারের কর্মকর্তাদের ছাড়াও ইরানে “ডিজিটাল স্বাধীনতাকে ব্যাহত করার প্রচেষ্টা” চালানোর জন্য অভিযুক্ত দুটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এই পদক্ষেপটির লক্ষ্যবস্তু হেদায়ত ফারজাদি। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রক তার বিরুদ্ধে এভিন কারাগার পরিচালনার অভিযোগ এনেছে। ওয়াশিংটন বলেছে, ওই কারাগারে অসংখ্য বিক্ষোভকারীকে বন্দি করা হয়েছে এবং সেখানে আটককৃতদের বেশিরভাগই রাজনৈতিক বন্দি। তেহরান প্রদেশের কারাগারের মহাপরিচালক সাইয়্যেদ হেশমাতুল্লাহ হায়াত আল-গাইবের নামও ওই তালিকায় রয়েছে। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, তিনি এভিন কারাগারের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন।
আইআরজিসি গোয়েন্দা সংস্থার কমান্ডার মোহাম্মদ কাজেমি এবং আইআরজিসি অপারেশনের ডেপুটি কমান্ডার আব্বাস নীলফোরুশানের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের কারণে নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃতদের সাথে সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের যেকোন সম্পদকে জব্দ করবে এবং সাধারণত আমেরিকানদের সাথে তাদেরকে লেনদেন করতে বাধা দেবে । যারা নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃতদের সাথে নির্দিষ্ট লেনদেনে জড়িত তারাও নিষেধাজ্ঞার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।