বুধবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজকে মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন। নেতাদের আশা ছিল, জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ে তাদের মতপার্থক্যগুলো কমিয়ে আনা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল দ্বৈত আইনকে পুনরুজ্জীবিত করা ।
গত ডিসেম্বরে শোলজ দায়িত্ব গ্রহণের ৩ মাসের কম সময় পরেই শুরু হওয়া ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে উভয় দিকেই সংকট দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের চাপ এবং এর প্রতিক্রিয়ার মধ্যে নেয়া সিদ্ধান্তগুলোকে প্রভাবিত করেছিল।
দাম বাড়তে থাকায় জ্বালানি তেলের ওপর ২০ হাজার কোটি ইউরো (২০ হাজার কোটি ডলার) পর্যন্ত ভর্তুকি দেয়ার বার্লিনের পদক্ষেপ এবং ইইউর বেধে দেয়া মূল্যসীমা মেনে না নেয়ার ব্যাপারটি প্যারিস এবং ইইউর অন্যান্য দেশ ভালোভাবে নেয়নি। ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশগুলো তাদের জ্বালানি মুল্যের ওপর বার্লিনের সিদ্ধান্তের কী প্রভাব পড়ে তা নিয়ে ভীত ছিল।
আমেরিকান সরঞ্জাম ব্যবহার করে অন্যান্য নেটো দেশগুলোর সাথে অভিন্ন একটি ক্ষেপণাস্ত্র ঢালের জন্য জার্মানির পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার সম্ভাবনাও দেখছে ফ্রান্স।
বুধবারের আলোচনা নিয়ে প্রত্যাশা ছিল সীমিত। ম্যাক্রোঁর এলিসি প্যালেস কার্যালয় থেকে প্রকাশিত সময়সূচীতেই তা স্পষ্ট ছিল। সেখানে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের কোনো কথা বলা হয়নি।
প্রেসিডেন্ট দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “ফ্রাঙ্কো-জার্মান সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে দুই নেতা প্রতিরক্ষা, অর্থনীতি এবং জ্বালানি বিষয়ে তাদের আলোচনা চালিয়ে যাবেন।”
ফরাসি চিন্তক ইনস্টিটিউট মন্টেইগনের একজন জার্মান রাজনীতি বিশেষজ্ঞ আলেকজান্দ্রে রবিনেট-বোর্গোমানো বলেছেন, “ফরাসি-জার্মান এই সম্পর্কে সবসময় উত্থান-পতন থাকে। দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সেই উষ্ণতার সম্পর্ক তৈরি হয়।”
“প্রায়শই সংকটের মুহূর্তে যখন ইউরোপীয় প্রতিক্রিয়া অপরিহার্য তখন ফ্রান্স এবং জার্মানি একটি যৌথ সমাধান প্রস্তাব করার জন্য তাদের মধ্যকার পার্থক্যগুলো কাটিয়ে উঠতে পারে।”