ইরানে বুধবার সন্ধ্যায় একটি শিয়া মাজারের ভিতরে গুলি চালায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। সরকারী সূত্র অনুসারে, এতে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন।
শিরাজ শহরের শাহ চেরাঘ মাজারে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম একে "সন্ত্রাসী" হামলা বলে অভিহিত করেছে এবং সন্দেহভাজন দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।
কোনো গোষ্ঠী এখনো হামলার দায় স্বীকার করেনি।
দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন মাহসা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন পূর্তি উপলক্ষে উত্তর-পশ্চিম ইরানের আমিনির সমাধিস্থলে জড়ো হয় কয়েকশ বিক্ষোভকারী। ঠিক একই দিনে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী তেহরানে নৈতিকতা পুলিশ মাথার স্কার্ফ - বা হিজাব - "ঠিকমতো" না পরার অভিযোগে, ওই কুর্দি তরুণীকে আটক করেছিল৷ তিন দিন পরে হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা যান ২২ বছর বয়সী ওই তরুণী। পুলিশ জানায় তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে তিনি মারা যান। তবে তার পরিবার বলছে, তার হৃদরোগের কোনো ইতিহাস ছিল না।
অধিকার গোষ্ঠীগুলি বলছে, তার মৃত্যুর প্রতিবাদে ২০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে এবং কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান এই বিক্ষোভ ইসলামি প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।