রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন আরটি গণমাধ্যমটিকে রবিবার গণহত্যার উস্কানিদাতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইউক্রেন। এর আগে এক উপস্থাপক বলেন যে ইউক্রেনের যেসব শিশু সোভিয়েত আমলে রুশদেরকে দখলদার হিসেবে বিবেচনা করে তাদেরকে ডুবিয়ে মারা উচিৎ।
গত সপ্তাহে সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে, আরটি’র উপস্থাপক অ্যান্টন ক্রাসোভস্কি বলেন, যেসব শিশুরা রাশিয়ার সমালোচনা করেছে তাদেরকে “সরাসরি খরস্রোতা কোন নদীতে ছুঁড়ে ফেলা” উচিৎ ছিল।
ক্রাসোভস্কি রুশ টিভিতে যুদ্ধপন্থী একজন বক্তা। তার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রুশ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক সার্গেই লুকানেঙ্কো যখন ক্রাসোভস্কিকে জিজ্ঞেস করেন যে, কিভাবে, কবে তিনি প্রথম ১৯৮০র দশকে ইউক্রেন সফর করেছিলেন, তখন তার জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন যে, সেসময়ে শিশুরা তাকে বলেছিল যে, মস্কো তাদের দেশ দখল না করে রাখলে তারা আরও ভাল থাকত।
ক্রাসোভস্কি বলেন, “তাদেরকে টাইসিনা-তে [নদী] ডুবানো উচিৎ ছিল। ঐ শিশুদের ডুবিয়ে মারুন, ডুবিয়ে।” প্রকারান্তরে তিনি এও বলেন যে, তাদেরকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে পুড়িয়েও মারা যায়।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সাক্ষাৎকারটির ছোট এক অংশে, ক্রাসোভস্কি এমন প্রতিবেদনেও হেসে উঠেন, যাতে বলা হয় যে, রুশ সৈন্যরা আক্রমণ চলাকালীন ইউক্রেনের বয়োঃবৃদ্ধ নারীদের ধর্ষণ করেছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্র কুলেবা, ঐ সাক্ষাৎকারের একটি অংশের ভিডিও সংযুক্ত করে একটি টুইট করেন। তাতে তিনি বলেন, “যেসকল সরকার এখনও আরটি-কে নিষিদ্ধ করেনি তাদের অবশ্যই এই অংশটুকু দেখা উচিৎ।”
কুলেবা আরও বলেন, “আগ্রাসীভাবে গণহত্যার উস্কানি [যার জন্য আমরা এই ব্যক্তিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো], যার বাকস্বাধীনতার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। বিশ্বব্যাপী আরটি-কে নিষিদ্ধ করুন।”
ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর কোন যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের বিষয়টি ক্রেমলিন অস্বীকার করে।