লেবাননের সংসদ সোমবার চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে । দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের মেয়াদ শেষ হতে মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। দেশটিতে সাংবিধানিক সংকট আরও বেশি করে দেখা দেয়ার সতর্কতার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
মে-র নির্বাচনের পর থেকে পার্লামেন্ট আরও বেশি দ্বিধাবিভক্ত হওয়ায় রাজনৈতিক ব্লকগুলো কে আউনের স্থলাভিষিক্ত হবেন সে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।
১৯৭৫-১৯৯০ এর গৃহযুদ্ধের পর থেকে প্রেসিডেন্ট পদটি বেশ কয়েকবার খালি হয়েছে কিন্তু এবারের শূন্যতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক হবে। সরকার ইতোমধ্যে তত্ত্বাবধায়ক ক্ষমতাবলে কাজ করছে এবং দেশটি ৩ বছরের পুরনো আর্থিক মন্দার মধ্যে তলিয়ে যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশটির মুদ্রার মান ৯০ শতাংশ হ্রাস করেছে। দেশটিতে দারিদ্র্য বৃদ্ধি পেয়েছে, আর্থিক ব্যবস্থা পঙ্গু হয়ে গেছে এবং দেশের গৃহযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে অস্থিতিশীল সংকটে আমানতকারীদের সঞ্চয় আটকে গেছে।
সোমবার পার্লামেন্টে ভোটগুলো বেশিরভাগ স্বতন্ত্র এমপি মিশেল মৌওয়াদ, নতুন মনোনীত পণ্ডিত ইসাম খালিফের মধ্যে ভাগ হয়েছিল। এছাড়া কিছু ব্যালট ফাঁকা ছিল এবং কিছু ব্যালটে রাজনৈতিক স্লোগান লেখা ছিল।
পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরি বৃহস্পতিবার অর্থাৎ অক্টোবরের ২৭ তারিখ পরবর্তী অধিবেশন নির্ধারণ করেছেন।
শীর্ষ পদে আবার শূন্যতা আসতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে রাজনীতিবিদরা সুন্নি মুসলিম প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা প্রদান করে তার নেতৃত্বে নতুন একটি মন্ত্রিসভার ব্যাপারে একমত হওয়ার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।