ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থা রবিবার বলেছে, একটি হ্যাকিং গ্রুপ তাদের একটি সহায়ক সংস্থার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করেছে এবং তাদের ইমেল সিস্টেমে অবাধে ঢুকতে পেরেছে।
রবিবার জারি করা এক বিবৃতিতে ইমেলের বিষয়বস্তুকে "প্রযুক্তিগত বার্তা, রুটিন এবং চলমান দৈনন্দিন আদান-প্রদান সম্বলিত" বলে তারা বর্ণনা করেছে।
ব্ল্যাক রিওয়ার্ড নামে পরিচিত একটি বেনামী হ্যাকিং গ্রুপ এই লঙ্ঘনের দায় স্বীকার করে বলেছে, তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ছবি এবং ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার অন্তত ৫০ গিগাবাইট তথ্য প্রকাশ করেছে।
ব্ল্যাক রিওয়ার্ড বুশেহর পাওয়ার প্ল্যান্টে কাজ করা ইরানি ও রাশিয়ান বিশেষজ্ঞদের পাসপোর্ট এবং ভিসা ছাড়াও, ইরান পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন ও উন্নয়ন কোম্পানির প্রকৌশলী এবং কর্মচারীদের পরিচয়, বিবরণ এবং বেতনাদী সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে।
গ্রুপটি তেহরানের সাম্প্রতিক দেশব্যাপী বিক্ষোভে গ্রেপ্তার হওয়া রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
মাহসা আমিনীর মৃত্যুতে দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল এবং তিন দিন পরে তাদের হেফাজতে সে মারা যায়। ২২ বছরের তরুণী আমিনিকে নারীদের জন্য দেশটির কঠোর পোষাক কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ইরানের সরকার দাবি করেছে, আমিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং তার সাথে কোনও খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। তবে তার পরিবার বলেছে, তার হৃদরোগের কোনো পূর্ব ইতিহাস নেই এবং তার শরীরে ক্ষত এবং মারধর ও দুর্ব্যবহারের অন্যান্য চিহ্ন রয়েছে।
এই প্রতিবেদনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের কিছু তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।