ইউক্রেনের বেসামরিক বিদ্যুৎ স্থাপনাগুলোতে রাশিয়া নতুন করে “ব্যাপক পরিসরে” ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এর ফলে দেশব্যাপী বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি তার প্রাত্যহিক ভিডিও বক্তব্যে শনিবার এসব কথা বলেন।
ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে দেশব্যাপী প্রায় ১৫ লক্ষ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
তবে জেলেন্সকি বলেন যে রাশিয়ার বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনই ভূপাতিত করা হয়েছে। এর আগে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল যে, তারা শনিবার আকাশ ও সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপিত ৩৩টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১৮টিকে ভূপাতিত করেছে।
গত দুই সপ্তাহে ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে রাশিয়া তাদের হামলা বৃদ্ধি করেছে।
সর্বসাম্প্রতিক হামলার শিকার এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের খেমেলনিতস্কি ও লুতস্ক এবং মধ্যাঞ্চলের উমান শহর।
যুদ্ধের আগে খেমেলনিতস্কি-তে ২,৭৫,০০০ মানুষের বসবাস ছিল। আঞ্চলিক কর্মকর্তারা বলেন যে, স্থানীয় গণমাধ্যম সেখানে বেশ কয়েকটি জোরালো বিস্ফোরণের খবর জানানোর কিছুসময় পর থেকেই সেখানে কোন বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই।
উমানে যুদ্ধের আগে ১,০০,০০০ বাসিন্দা থাকত। সেটির কাছের এক বিদ্যুৎকেন্দ্রে একটি রকেট আঘাত হানার পর, ঐ শহরটিও অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
২,১৫,০০০ বাসিন্দার শহর লুতস্ক এর এক স্থানীয় বিদ্যুৎ স্থাপনায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করার পর শহরটি আংশিকরূপে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান।
খেমেলনিতস্কি ও লুতস্ক এর কর্তৃপক্ষ, “যদি পানি চলে যায়, তাহলে সেই পরিস্থিতির জন্য” বাসিন্দাদেরকে পানি ধরে রাখতে বলেছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের ওডেসা, মধ্যাঞ্চলের নিপ্রো ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ঝাপোরিঝিয়া শহরগুলোতেও বিমানহামলা ও বিদ্যুৎবিভ্রাটের খবর পাওয়া গিয়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায়, রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় শনিবার ঘুরে ঘুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেন যে, ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোতে রাশিয়া আক্রমণ বৃদ্ধি করার পর থেকে, দেশটির বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রায় ৪০% গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।