অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আবার গোলাগুলি, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৩০টি পরিবার


বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আবার গোলাগুলি, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৩০টি পরিবার
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আবার গোলাগুলি, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৩০টি পরিবার

বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নে শনিবার (২২ অক্টোবর) ছয় ঘণ্টা ধরে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের ভেতরে একটানা গুলি ও মর্টার গোলাবর্ষণ হয়। এর পর, স্থানীয় প্রশাসন ৩০টি পরিবারকে ঐ এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।

আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে, মিয়ানমার এলাকা এক সপ্তাহ শান্ত থাকার পর শনিবার আবারও গুলি ও গোলা বর্ষণ শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর ১টায় দোছড়ি থেকে ঘুমধুম ইউনিয়ন পর্যন্ত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গুলি ও গোলা বর্ষণ শুরু হয়, চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

দোছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. রহমান বলেন, রাখাইন রাজ্য ভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন আরকান আর্মি কিছু দিন আগে সীমান্ত এলাকা থেকে চলে গিয়েছিল। গত সপ্তাহে আরাকান আর্মির সদস্যরা আবার সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে।”

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, “বেশ কয়েকদিন ধরে ঐ এলাকায় কোনো গোলাগুলি হয়নি। হঠাৎ করেই আবার শুরু হয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।”

গুলি ও গোলা বর্ষণের সময় তিনি জামছড়িতে ছিলেন বলে জানান চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন ।

ইমন বলেন, “মিয়ানমার থেকে অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি বাংলাদেশে এসে পড়েছে। মিয়ানমারের ভেতরে ভারী মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গোলাবর্ষণের মধ্যে ত্রিশটি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরা সকলেই সীমান্তের খুব কাছে বসবাস করেন।”

উল্লেখ্য যে গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশের ঘুমধুম-এর তুমব্রু-তে মিয়ানমারের দিক থেকে নিয়মিত বিরতিতে গোলাগুলি চলছে।

XS
SM
MD
LG