ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডাব্লিউএফপি) বা জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি শুক্রবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষ প্রায় আসন্ন এবং দেশটিতে দলে দলে মানুষ মারা যেতে শুরু করাটা এখন কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সংস্থাটি বলেছে, তারা সোমালিয়ায় লক্ষ লক্ষ তীব্র ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য ব্যাপকভাবে খাদ্য সহায়তা বাড়িয়ে দুর্ভিক্ষ ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
ডাব্লিউএফপি সোমালিয়ার ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর লরা টার্নার বলেছেন, আন্তর্জাতিক অনুদানের ফলে, দেশটির প্রায় ৪২ লাখ মানুষের কাছে খাদ্য ও নগদ ত্রাণ পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে।
সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু থেকে তিনি বলেন, ডব্লিউএফপি রেকর্ড সংখ্যক মানুষকে খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করছে। তিনি বলেন, এই সুবিধা যারা পাচ্ছে তাদের মধ্যে অপুষ্টিজনিত চিকিৎসা সেবার আওতায় প্রায় পাঁচ লাখের মতো অপুষ্ট শিশু এবং মা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বর্ধিত খাদ্য সহায়তার ফলে সোমালিয়ার ক্ষুধা সংকটকে কোনো মতে কাটানো গেছে। তবে, তিনি সতর্ক করে বলেন, সোমালিয়া এখনও বিপদমুক্ত নয়।
তিনি বলেন, “আমরা সময়ের বিরুদ্ধে একটি মরিয়া দৌড়ে আছি, যেমন আমরা এক মাস আগেও আলোচনা করেছি, যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে, এবং আমরা আশংকা করছি যে তাই হবে। কারণ, আমরা বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে আছি, কিন্তু বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর জন্য ত্রাণ সহায়তা যদি বাড়তে থাকে না, তাহলে এই বছরের শেষ হওয়ার আগেই ব্যাপক দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে।”
জাতিসংঘ ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে, দেশটির উপসাগরীয় অঞ্চলের বাইদোয়া এবং বুরহাকাবা জেলায় দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। তারা পূর্বাভাস দিয়েছে, সারা দেশে ৬৭ লাখ মানুষ বছরের শেষের আগে সংকট-স্তরের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি হবে।
টার্নার বলেন, ডব্লিউএফপি এখন এই বছরের শুরুর দিকে যে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছিল, তার দ্বিগুণেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ লোকেদের কাছে পৌঁছেছে। তবে তিনি বলেন, কেবল মাত্র খাদ্য সহায়তা প্রাণহানি রোধ করতে পারবে না।