ইরানে পুলিশী হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় নারীদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভটির প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে, শনিবার বার্লিনে প্রায় ৮০,০০০ মানুষ এক সমাবেশে যোগ দেন। পুলিশের এক মুখপাত্র এএফপি-কে এমন তথ্য জানান।
জার্মানীর গ্রীন পার্টির পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী, লিজা পস টুইটারে বলেন, “ইরানের সাহসী নারী ও বিক্ষোভকারীদের প্রতি আজকে হাজার হাজার মানুষ নিজেদের সংহতি প্রকাশ করছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি।”
নারীদের একটি সংগঠনের আহ্বান করা ঐ সমাবেশে যোগ দেওয়া কয়েকজন “নারী, জীবন, স্বাধীনতা” বলে স্লোগান দেন। তাদের কেউ কেউ কুর্দি পতাকাও উড়াচ্ছিলেন।
হেমন্তের উদ্ভাসিত রোদে অংশগ্রহণকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে শহরের কেন্দ্রস্থল অভিমুখে এগোতে থাকেন। এসময়ে পুলিশ হেলিকপ্টার ব্যবহার করে তাদের অগ্রযাত্রাটি অনুসরণ করে।
ইরানে প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে নারীদের নেতৃত্বে ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ হয়ে আসছে। শনিবার দোকানি ও কারখানার শ্রমিকরা হরতাল আরম্ভ করেন এবং নাগরিকরা মাহসা আমিনির মৃত্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করা অব্যাহত রেখেছেন। ২২ বছর বয়সী আমিনিকে নারীদের জন্য ইরানের কঠোর পোশাক নীতিটি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এবারের বিক্ষোভগুলো ইরানে কয়েক বছরের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে বৃহৎ পরিসরের বিক্ষোভ। এর আগে ২০১৯ সালে আকাশচুম্বী জ্বালানীর মূল্যের প্রতিবাদে দেশটিতে সমাবেশ হয়েছিল।
এবারের বিক্ষোভে তরুণীরাই নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারা তাদের মাথার হিজাব খুলে ফেলেছেন, সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়েছেন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সম্মুখীন হয়েছেন।
অসলো ভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস গোষ্ঠীটি বলছে যে,এই বিশৃঙ্খলায় কয়েকটি শিশু সহ অন্তত ১২২ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।