অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার বিজ্ঞানীরা রহস্যময় এক নতুন বিনোদনমূলক ওষুধ নিয়ে গবেষণা করছেন যা অস্ট্রেলিয়ায় আগে কখনও দেখা যায়নি।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে যে পদার্থটি কেটামিনের খুব কাছাকাছি একটি রাসায়নিক পদার্থ যাকে “ক্লোজ কাজিন অব কেটামিন” বলা হচ্ছে।
এই পদার্থটি ডাক্তার এবং পশু চিকিৎসকরা অজ্ঞান করার জন্য নিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার করে থাকেন।
এই নতুন ওষুধটি "ক্যানকেট" নামে পরিচিত - একটি ক্যানবেরা কেটামিন।অস্ট্রেলিয়ার রাজধানীতে এটা প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল সরকার-সমর্থিত একটি ওষুধ পরীক্ষা বা পিল টেস্টিং সেন্টারে যা এই বছরের শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছিল।
গবেষক দলটি বলছে, ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ওষুধ চেকিং সেন্টারে নতুন ঐ ওষুধটি হস্তান্তর করা হয়েছিল।
ব্যবহারকারী ভেবেছিলেন যে তাদের কেটামিন দেওয়া হয়েছিল তবে এর প্রভাবগুলি ছিল অস্বাভাবিক এবং বড়ি পর্যবেক্ষক পরিষেবার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তা পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন।ছোট প্লাস্টিকের ব্যাগে “স্ফটিক এবং পাউডারের” আকারে ওষুধটি দেয়া হয়েছিল ।”
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা মনে করেন, নতুন ঐ ওষুধটি সম্ভবত বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। ক্যানকেটের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা তা জানা যায়নি।এর রাসায়নিক উপাদান কেটামিনের অনুরূপ তবে এর অন্যান্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আগে দেখা যায়নি।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কুল অফ কেমিস্ট্রির
সহযোগী অধ্যাপক ম্যালকম ম্যাকলয়েড ভিওএকে বলেন যে কেটামিন এবং এর অনুরূপ ওষুধটি ক্রমে অবৈধ জনপ্রিয় ওষুধ হয়ে উঠছে।
কেটামিন ঔষধ হিসাবে এবং ঘোড়ার ক্ষেত্রে বেদনা নাশক বা শান্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়।এটি একটি জনপ্রিয় বিনোদনমূলক মাদক ড্রাগ যা "কে-হোল" নামে পরিচিত। মানুষের মাঝে এর সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটে যার মাঝে রয়েছে দুঃস্বপ্ন, হ্যালুসিনেশন, উচ্চ রক্তচাপ এবং বিভ্রান্তিষ
ন্যাশনাল ড্রাগ স্ট্র্যাটেজি হাউসহোল্ড সার্ভে অনুসারে ২০১৯ সালে, আনুমানিক ৯০ লক্ষ অস্ট্রেলিয়ান - বা ১৪ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশি – অবৈধভাবে ঐ বড়ি ব্যবহার করেছে। জরিপটি সরকারী অর্থায়নে করা হয়। এই প্রকল্পের অধীনে ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতি দুই থেকে তিন বছর পর পর অস্ট্রেলিয়ায় অ্যালকোহল, তামাক এবং মাদক সেবন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে আসছে।
অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় অবৈধ ড্রাগ ছিল গাঁজা এবং কোকেইন। জরিপের দেখা গেছে কেটামিনের ব্যবহার ২০১৬ সালে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৯ সালে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।