বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন-কে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পিরোজপুরের মূখ্য বিচারিক হাকিম (সিজেএম) আবু জাফর মো. নোমানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও তাকে হুমকি দেওয়ায়, আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ স্বত:প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দিয়েছেন। পিপিকে আগামী ১৫ নভেম্বর হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে এ বিষয়ে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে মূখ্য বিচারিক হাকিম আবু জাফর মো.নোমানকে, পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. আলাউদ্দিনের হুমকি ও অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট বলেছেন, “একজন পিপির দায়িত্ব আদালতের পরিবেশ সুন্দর রাখতে বিচারককে সহযোগিতা করা। কিন্তু তিনি বিচারকের সঙ্গে বেয়াদবি করেছেন। এটা মেনে নেয়া যায় না।”
রাষ্ট্রপক্ষের প্রতি আদালত বলেন, “পিরোজপুরের পিপি বিচারকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে একদিকে যেমন আইনজীবী হিসেবে অপরাধ করেছেন। অন্যদিকে, পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবেও অপরাধ করেছেন। তিনি বার কাউন্সিলের যে আইনজীবীর আচরণ বিধি আছে, সে আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন। যদি কনটেম্পট প্রমান হয়, তাহলে তার জেল হবে।”
গত ১৯ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরের মূখ্য বিচারিক হাকিম আবু জাফর মো. নোমান পিপি’র বিরুদ্ধে খারাপ আচরণের অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দেন। এই চিঠির প্রেক্ষিতে পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো.আলাউদ্দিন-কে তলব করেছেন হাইকের্ট।