পোপ ফ্রান্সিসের নতুন বইয়ের একাংশ উদ্ধৃত করে রবিবার তা প্রকাশ করা হয়। উদ্ধৃত ঐ অংশে তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারী ও ইউক্রেন যুদ্ধ জাতিসংঘের সীমাবদ্ধতা উন্মোচিত করার পর, সংগঠনটি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা “একেবারেই স্পষ্ট”।
পোপ বলেন, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ, বর্তমান বহুপাক্ষিক কাঠামো, বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ – যাতে “সংঘাত নিরসনে আরও দ্রুত ও কার্যকর পন্থা” খুঁজে পায়, সেটি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেছে।
দৈনিক লা স্টাম্পা’য় উদ্ধৃত এক অংশে তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধকালীন সময়ে, এটি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের আরও বহুপাক্ষিকতা ও আরও উন্নত বহুপাক্ষিকতা প্রয়োজন”, কিন্তু জাতিসংঘ “নতুন বাস্তবতার” জন্য আর যোগ্য নয়।
পোপ ফ্রান্সিস বলেন, সংগঠনটি আবারও বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা ঠেকানোর জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, কিন্তু যদিও ঐ সংঘাতগুলোর হুমকি তখনও টিকে ছিল, তবুও “আজকের বিশ্ব আর আগের মত নেই”।
তিনি আরও বলেন, “মহামারীর পর এই সংস্কারগুলোর প্রয়োজনীয়তা একেবারেই স্পষ্ট হয়ে উঠে”, যখন বর্তমান বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাটি “সেটির সমস্ত সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে”।
টিকার অসম বিতরণের প্রতি নিন্দা জানিয়ে, পোপ ফ্রান্সিস সেটিকে, সংহতির উপরে শক্তির জয়ের নিয়মেরই একটি “উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
৮৫ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস “গঠনমূলক সংস্কারের” পক্ষে মত দেন, যার লক্ষ্য হবে যে, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন “মানব পরিবারের সেবার” তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্যটি পুনরায় উপলব্ধি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই “সম্ভাব্য সর্বাধিক সম্মতির” ভিত্তিতে গঠিত হতে হবে।
পোপ ফ্রান্সিস খাদ্য, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার নিশ্চিতেরও প্রস্তাব করেন, যেগুলোর উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সিদ্ধান্তগুলো নিবে।
পোপ ফ্রান্সিসের নতুন বইটির নাম “আই আস্ক ইউ ইন দ্য নেম অফ গড: টেন প্রেয়ারস ফর অ্যা ফিউচার অফ হোপ”। বইটি মঙ্গলবার ইতালীর বাজারে আসার কথা রয়েছে।