রবিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট পার্টির লড়াইয়ে সফলতার কথা জাহির করেন। একইসাথে তিনি বেসরকারি খাতের জন্য সমর্থন ও একটি “সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে” নির্ভুল বানানোর চেষ্টার মধ্যেও বাজার ব্যবস্থাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন।
কংগ্রেস সম্মেলনের শুরুতে দেওয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন শি। ধারণা করা হচ্ছে এবারের কংগ্রেসে তিনি তৃতীয় মেয়াদের জন্য নেতৃস্থানীয় পদে জয়লাভ করবেন। এর ফলে মাও জেডং-এর পর থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা হিসেবে তার অবস্থান দৃঢ় হয়ে উঠবে। হংকংয়ের পরিস্থিতিটি দলের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার বিষয়টিরও প্রশংসা করেন শি। হংকং ২০১৯ সাল থেকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অশান্ত হয়ে রয়েছে।
শি বলেন, ৯ কোটি ৬০ লক্ষ সদস্যের দলটি “মানব ইতিহাসে দরিদ্রতার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় লড়াইটিতে জয়ী হয়েছে।”
তার এক দশকের ক্ষমতাকালীন সময়ে, ৬৯ বছর বয়সী শি চীনকে ক্রমবর্ধমানভাবে স্বৈরশাসনের পথে নিয়ে গিয়েছেন। নিরাপত্তা, “অভিন্ন সমৃদ্ধির” নামে অর্থনীতিতে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ, আরও একগুঁয়ে কূটনীতি, আরও শক্তিশালী সামরিক বাহিনী ও গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে দখলে চাপ বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার দিয়েছে তার শাসননীতি।
বিশ্লেষকরা সাধারণভাবে নীতি নির্ধারণীতে কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আশা করছেন না।
কোভিড বিষয়ে শি বলেন যে, চীন আন্তর্জাতিক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চীন বারবারই শি-এর শূন্য-কোভিড কৌশলের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকারের উপর জোর দিয়েছে। এর ফলে অগণিত চীনা নাগরিকসহ বিনিয়োগকারীদের এমন আশা গুঁড়িয়ে যায় যে, চীন নিকট ভবিষ্যতে এই নীতি থেকে বের হয়ে আসা আরম্ভ করবে। তাদের এমন নীতি ব্যাপক হতাশা ও অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।