শনিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে ইরান আবারও অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে যে তারা রাশিয়াকে "ইউক্রেনের যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করেছে"।
কিয়েভ এবং তার অনেক পশ্চিমা মিত্র সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ইউক্রেনে হামলায় ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করার জন্য মস্কোকে অভিযুক্ত করেছে। সোমবার লুক্সেমবার্গে একটি বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান "জোর দিয়ে বলেছিলেন যে ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইউক্রেনের যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য কোন অস্ত্র দেয়নি এবং দেবে না"।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার পর্তুগিজ সমকক্ষ জোয়াও গোমেস ক্রাভিনহোর সাথে একটি ফোন-কলে বলেছেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে সঙ্কটের উভয় পক্ষকে অস্ত্রশস্ত্র প্রদান যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করবে।"
তিনি আরো বলেন, "আমরা ইউক্রেন বা আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং ইয়েমেনে যুদ্ধকে সঠিক পথ হিসাবে বিবেচনা করিনি এবং মনে করি না।"
শুক্রবার ইইউ পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেলের সাথে একটি পৃথক ফোন কলে, আমির-আব্দুল্লাহিয়ান প্রায় আট মাস আগে শুরু হওয়া যুদ্ধের বিষয়ে ইরানের নিরপেক্ষতার সরকারি অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, "রাশিয়ার সাথে আমাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আছে, কিন্তু ইউক্রেনের যুদ্ধ সংক্রান্ত আমাদের নীতি হচ্ছে বিবাদমান পক্ষগুলোকে অস্ত্র না পাঠানো, যুদ্ধ বন্ধ করা এবং মানুষের বাস্তুচ্যুতি বন্ধ করা"।
সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেন, ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার হামলায় ইরানি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।
গত মাসে, কিয়েভ রাশিয়ার কাছে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে তেহরানের সাথে তার কূটনৈতিক সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
ইরান বলেছে যে এই সিদ্ধান্ত "বিদেশী মিডিয়ার অপপ্রচারে সরবরাহ করা ভিত্তিহীন তথ্য দ্বারা চালিত"।
সেপ্টেম্বরে, ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ইরানি ড্রোন সরবরাহে সহায়তা করার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র একটি কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।