কিরগিজ রাজধানীতে আরএফই/আরএল অফিসের সামনে মুক্ত গণমাধ্যমকে হুমকি দিয়ে একটি বিক্ষোভের পর, স্বাধীন গণমাধ্যমের সমর্থনে শত শত অধিকারকর্মী, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজ সংস্থার প্রতিনিধিরা বিশকেকে সমাবেশ করেছে।
বিক্ষোভকারীরা শুক্রবার বিশকেকের রেলওয়ে স্টেশনের কাছে জড়ো হয় এবং "বাক স্বাধীনতা!" স্লোগান দিতে দিতে শহরের কেন্দ্রীয় চত্বরে সংসদ ভবনের দিকে মিছিল করে।
আগের দিন, প্রায় ৪০ জন, যাদের মধ্যে অনেকেই তাদের মুখ ঢেকে রেখেছিলেন এবং ছবি তোলা এড়িয়ে গিয়েছিলেন, বিশকেকের আরএফই/আরএল অফিসের সামনে দুটি স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট ক্লুপ এবং কাকটুস মিডিয়াসহ আরএফই/আরএল বন্ধ করার দাবিতে সমাবেশ করেছিলেন।
তারা গণমাধ্যমকে "আমাদের জনগণের শত্রু" বলে অভিহিত করে দেশে বেসরকারি সংস্থার কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছিলেন। গ্রুপের নেতা, ইলিমবেক ইসরাইলভ, আরএফই/আরএল অফিস "পুড়িয়ে ফেলার" হুমকি দিয়েছেন।
তিনি আরএফই/আরএল সংবাদদাতাদের উপর পেট্রল ছিটানো এবং তাদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের হুমকিও দেন।
বেশ কিছু কিরগিজ আইনপ্রণেতা স্বাধীন মিডিয়া বন্ধ করার এবং বেসরকারি সংস্থার কার্যক্রম সীমিত করার ধারণাকে সমর্থন করেছেন। তবে সংসদের আরও বেশ কয়েকজন সদস্য এ ধরনের কথাবার্তার সমালোচনা করেছেন।
কমিশন অফ মিডিয়া কমপ্লেন্টস নামক একটি বেসরকারী গোষ্ঠীর সভাপতি , তামারা ভ্যালিভা, আরএফই/আরএলকে বলেছেন যে আইন প্রণেতারা যারা স্বাধীন মিডিয়ার উপর বিধিনিষেধ সমর্থন করেন তাদের আসন ছেড়ে দেওয়া উচিত।
ভ্যালিভা বলেন, "মধ্য এশীয় অঞ্চলে আমাদের মিডিয়া সবচেয়ে শক্তিশালী এবং মুক্ত। এটা আমাদের বড় অগ্রগতি। আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হল আমাদের দেশে স্বাধীন গণমাধ্যমের উপস্থিতি এবং বাকস্বাধীনতা"।
তিনি আরো বলেন, "এবং এখন, কেউ কেউ আমাদের কাছ থেকে সেই স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চায়।শুধুমাত্র অদূরদর্শী লোকেরা বোঝে না যে শক্তিশালী মিডিয়া মানে একটি শক্তিশালী দেশ"।
বিক্ষোভে কেউ কেউ আরএফই/আরএল-এর প্রেসিডেন্ট জেমি ফ্লাইয়ের দাবির প্রতিধ্বনি করেছেন যে আরএফই/আরএল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা হুমকির তদন্ত করা হোক।