অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের রাজধানী থেকে রাজনৈতিক সমালোচনামূলক ব্যানার সরিয়ে ফেলা হলো


বেইজিংয়ের এক ব্যস্ত মোড়ে কমিউনিস্ট দলের নেতৃত্বের সমালোচনা করে ব্যানার ঝোলানোর খবর পাওয়ার ইন্টারনেট সেন্সরকারীরা সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্টগুলো সরাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, ১৩ অক্টোবর ২০২২।
বেইজিংয়ের এক ব্যস্ত মোড়ে কমিউনিস্ট দলের নেতৃত্বের সমালোচনা করে ব্যানার ঝোলানোর খবর পাওয়ার ইন্টারনেট সেন্সরকারীরা সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্টগুলো সরাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, ১৩ অক্টোবর ২০২২।

চীনের রাজধানী বেইজিং-এর একটি ওভারপাস থেকে কর্তৃপক্ষ বিরল রাজনৈতিক প্রতিবাদের ব্যানারগুলো সরিয়ে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে বহুল প্রচারিত বিভিন্ন ছবিতে এমনটি দেখা যায়। কমিউনিস্ট পার্টির পঞ্চবার্ষিক সম্মেলনের মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকতে এমন ঘটনা ঘটল।

ব্যানারগুলোতে বেশ কিছু স্লোগান লেখা ছিল। এগুলোর মধ্যে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-কে ক্ষমতাচ্যুত করার ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কঠোর নীতির অবসানের আহ্বানও ছিল। টুইটারে প্রচারিত একাধিক ছবি ও ভিডিও থেকে এসব তথ্য জানা যায়। চীনে টুইটার নিষিদ্ধ।

ঐ ছবিগুলোতে, বেইজিংয়ের উত্তর-পশ্চিমের হাইদিয়ান ডিস্ট্রিক্ট-এর যে রাস্তার উপর ব্যানারগুলো ঝোলানো ছিল, সেটি থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গিয়েছে। হাইদিয়ানে বেশ কয়েকটি নামিদামী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত।

চীনের রাজধানীর এমন ঘটনা এক সংবেদনশীল মুহুর্তে সংঘটিত হল। সেখানে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেসের আগে দিয়ে কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের কংগ্রেসে শি তৃতীয় মেয়াদে শাসনভার গ্রহণ করবেন।

একটি স্লোগানে লেখা ছিল, “আসুন আমরা বিদ্যালয় ও কর্মস্থল থেকে আঘাত করি এবং স্বৈরশাসক বিশ্বাসঘাতক শি জিনপিংকে অপসারণ করি।”

চীনে হওয়া কোন প্রতিবাদে নির্দিষ্ট করে শি-র নাম উল্লেখ করা অত্যন্ত অস্বাভাবিক ঘটনা। দেশটির বাসিন্দারা সেন্সরশীপ এড়াতে নমনীয় শব্দ এবং পরোক্ষ ভাষা ও ছবি ব্যবহার করেন।

লাল অক্ষরে লেখা ব্যানারগুলোর অপর একটিতে লেখা ছিল, “আমরা কোভিড পরীক্ষা চাই না, আমরা খেতে চাই; আমরা লকডাউন চাই না, আমরা মুক্ত থাকতে চাই।”

চীনের শূন্য-কোভিড নীতির কারণে ঘনঘন লকডাউন দেওয়া হয় এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। এমন নীতি চীনের শহরগুলোতে ব্যাপক হতাশার সৃষ্টি করেছে।

XS
SM
MD
LG