বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা মঙ্গলবার সতর্ক করেছে যে চরম আবহাওয়া যেমন তাপপ্রবাহ এবং হারিকেন জ্বালানি শক্তির অবকাঠামোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন জলবায়ু পরিবর্তন ইউক্রেনের যুদ্ধের মতো বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সুরক্ষার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডাব্লিউএমও যা বলেছে তা এই বছরটিকে এবং সামনের চ্যালেঞ্জগুলিকে চিত্রিত করে। ইউরোপ এবং চীনের কিছু অংশে গরম আবহাওয়া এবং খরা, বিদ্যুৎ উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন, যাকে মস্কো একটি "বিশেষ সামরিক অভিযান" বলে অভিহিত করে, তা ইউরোপীয় শক্তি সরবরাহকে গভীর ঘাটতির দিকে নিয়ে গেছে, সেই সাথে সম্ভাব্য বিদ্যুতের রেশনিং এবং ব্ল্যাকআউট এর সম্ভাবনা রয়েছে সামনে।
ডাব্লিউএমও এর জলবায়ু এবং শক্তি কর্ণধার রবার্টা বোসকোলো, জাতিসংঘ জ্বালানি বিষয়ে একটি বড় প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় রয়টার্সকে বলেছেন, "আমি মনে করি যে আমরা যদি কিছু না করি, যদি আমরা আমাদের জ্বালানি শক্তি ব্যবস্থাকে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আরও স্থিতিস্থাপক না করি, তাহলে জ্বালানি শক্তি ব্যবস্থায় যুদ্ধের মতোই বড় ব্যাঘাত ঘটবে"।
তিনি বলেন চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার জন্য, "বিশাল" বিনিয়োগের প্রয়োজন। সে রকম পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যেমন নতুন বৃষ্টিপাতের ধরণগুলির সাথে খাপখাইয়ে নেওয়ার জন্য বাঁধগুলিকে পুনরুদ্ধার করা এবং ঝড়ের জলোচ্ছ্বাসের বিরুদ্ধে গাছপালা সংরক্ষিত করা। ডব্লিউএমও এর একটি নথি থেকে দেথা যায় যে, সমস্ত পারমাণবিক স্থাপনার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি সমুদ্রপৃষ্ঠে পাওয়া যায় এবং তা পানির স্তর বৃদ্ধির সাথে সাথে হুমকির সম্মুখীন হবে।
সামগ্রিকভাবে, ডব্লিউএমও তার প্রতিবেদনে বলেছে যে দেশগুলি তাদের নবায়নযোগ্য শক্তির প্রতিশ্রুতিতে পিছিয়ে রয়েছে, বলেছে যে তারা প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় ক্ষমতার অর্ধেকেরও কম তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে ডব্লিউএমও মহাসচিব বলেছেন যে তিনি আশা করেন ইউক্রেন যুদ্ধ নবায়নযোগ্য রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করবে, যদিও কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির উপর স্বল্পমেয়াদী নির্ভরতা রয়েছে।