ইরাকের সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনের ১ বছর পার হয়েছে। তেল সমৃদ্ধ দেশটিকে পঙ্গু করে দেয়া অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে জাতিসংঘ মিশন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তারা সতর্ক করেন, “ইরাকের সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে।”
স্থানীয় দুর্নীতি, ব্যাপক বেকারত্ব এবং ক্ষয়িষ্ণু অবকাঠামোর বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভের কারণে শুরু হওয়া নির্বাচনে ইরাকিরা ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর শেষ ভোট দিয়েছিল।
এক বছর পর দেশটি এখনো একটি নতুন সরকার গঠন করতে পারেনি। তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল-কাদেমির দায়িত্বাধীন পার্লামেন্ট নতুন বাজেট পাস করতে পারেনি।
প্রতিদ্বন্দ্বী শিয়া মুসলিম উপদলগুলো পার্লামেন্টে প্রভাব এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী ও সরকার নির্বাচনের অধিকারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
ইরান-সমর্থিত সমন্বয় ফ্রেমওয়ার্কের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আলেম মোক্তাদা সদর এই রাজনৈতিক অচলাবস্থার ভুক্তভোগী। তিনি নতুন নির্বাচনের আগে নতুন সরকার প্রধান নিয়োগের জন্য চাপ দিচ্ছেন।
গত ২৯ আগস্ট উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানীর সরকার ও কূটনৈতিক জেলা বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোনে ইরান-সমর্থিত দল এবং সেনাবাহিনীর মধ্যকার সংঘর্ষে ৩০ জনেরও বেশি সদর সমর্থক নিহত হয়েছে।
এই বছর ইরাক জ্বালানি রপ্তানি করে বিপুল আয় করেছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ৮৭ বিলিয়ন ডলারের বিশাল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে।
তবে এই অর্থ আটকে আছে কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে ক্ষমতাসীন থাকা কাদেমির সংসদে বার্ষিক বাজেট জমা দেয়ার অনুমোদন নেই।
জাতিসংঘ মিশন বলেছে, বছর শেষের আগে একটি বাজেট গৃহীত হওয়া “অত্যাবশ্যক।”