অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য, নিউ সাউথ ওয়েলস শনিবার আরও ভারীবর্ষণ ও সম্ভাব্য বন্যার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। এদিন আবহাওয়া সতর্কবার্তার সংখ্যা বেড়ে ৬৪ তে গিয়ে পৌঁছায় এবং কর্তৃপক্ষ মানুষজনকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে ও যাতায়াত পরিহার করতে অনুরোধ করে।
সিডনিতে বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং শহরটির কাছের ও উপকূল ছাড়িয়ে আরও অভ্যন্তরের নদীগুলোতে বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলেছেন যে, বুধবার থেকে রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতের ফলে সেগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস এর প্রধান, ডমিনিক পেরোটেট সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের রাজ্য জুড়ে আকষ্মিক বন্যার উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি রয়েছে।”
বন্যা মোকাবেলায় নেওয়া প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী ও জরুরি পরিষেবার হেলিকপ্টার এবং মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত থাকা জরুরি পরিষেবার ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক।
জরুরি পরিষেবা আরও জানিয়েছে যে, বিগত ২৪ ঘন্টায় ১০ জনকে বন্যা থেকে উদ্ধার করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চল বিরলভাবে পরপর তৃতীয় বছরের মত লা নিনিয়া আবহাওয়া পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। এমন আবহাওয়া পরিস্থিতি অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ঘটায়। ২০২২ সালের এখনও প্রায় তিন মাস বাকি থাকা অবস্থাতেই, সিডনি এই সপ্তাহে, শহরটিতে ১৮৫৮ সালে রেকর্ড রাখা আরম্ভ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বার্ষিক বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
রাতভর আরও বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে আকষ্মিক বন্যা, ভূমিধ্বস, ও গাছ উপড়ে পড়ার ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে, রাজ্যের জরুরি পরিষেবা বিষয়ক মন্ত্রী, স্টেফ কুক জানান।
রবিবার বৃষ্টি কিছুটা কমে আসার বিষয়ে আশা করা হচ্ছে। তারপর তা উপকূল থেকে আরও দূরে সমুদ্রের দিকে সরে যাবে। তবে, সপ্তাহের মধ্যভাগে আরও উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে, আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে।
এই বছর অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূল বারবার বিপর্যয়কর বন্যার শিকার হয়েছে। মার্চ মাসে বাড়তে থাকা পানি হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে এবং সে সময়ে অন্তত ১৩ জন নিহত হন।