ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী সাবরাথা শহরের কাছে ১৫ জন অভিবাসন-প্রত্যাশীর “জঘন্য হত্যাকাণ্ডের” বিষয়ে লিবিয়ায় জাতিসংঘ মিশনটি রবিবার নিন্দা জ্ঞাপন করেছে। তারা পাচারকারীদের এজন্য দায়ী করে ন্যায়বিচার দাবি করেছে।
শুক্রবার সকালে সৈকতে মৃতদেহগুলি পাওয়া যায়। তাদের বেশিরভাগই একটি দগ্ধ নৌকার ভেতরে আগুনে পোড়া অবস্থায় ছিল। জাতিসংঘ ও লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট এসব তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘ মিশনটি, বা ইউএনএসএমআইএল এক বিবৃতিতে বলে, “যদিও নির্দিষ্ট করে কি হয়েছিল তা নির্ধারণ করা এখনও বাকি রয়েছে, তবু প্রতিপক্ষ পাচারকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে হত্যাকাণ্ডগুলো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।”
তারা উত্তর আফ্রিকার এই দেশের কর্তৃপক্ষকে “অপরাধীদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে একটি দ্রুত, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করার” অনুরোধ জানিয়েছে।
স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করা ২০১১ সালের অভ্যুত্থানটির আগেও লিবিয়া গোপন অভিবাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ ছিল।
পরবর্তীতে হওয়া অরাজকতায়, দেশটি ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ অভিবাসন পথগুলোর তালিকায় আরও উপরে উঠে আসে।
লিবিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, “পাচারকারীদের মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব থেকে” সর্বসাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর সূত্রপাত হয়। তারই জেরে পাচারকারীরা অভিবাসন-প্রত্যাশীদের উপর গুলি চালানো আরম্ভ করে। বেশিরভাগ অভিবাসন-প্রত্যাশীই আরও দক্ষিণে অবস্থিত আফ্রিকার দেশগুলো থেকে এসেছিল।
সংশ্লিষ্ট দলগুলোর একটি ঐ নৌকাটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে, প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়।
এই বছরের শুরু থেকে ১৪,০০০ এরও বেশি অভিবাসন-প্রত্যাশীকে পথিমধ্যে থামিয়ে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) সোমবার জানায়।
ভূমধ্যসাগর পার করার প্রচেষ্টায় অন্তত ২১৬ জন মানুষ মারা গিয়েছে এবং ৭২৪ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং তাদের মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।