অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ সিরিয়ার আটক শিবির থেকে ৬০ জনেরও বেশি অস্ট্রেলীয় বিধবা এবং ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের সন্তানদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে, বন্দিদের প্রত্যাবাসন করা হলে তাদের নজরদারির মধ্যে রাখা হবে। তারা বলেছেন নারীরা নিয়ন্ত্রণ আদেশের অধীন হতে সম্মত হয়েছেন।
অস্ট্রেলীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদেরকে একসাথে বের করে আনার সম্ভাবনা কম। উদ্ধারকাজে বেশ কয়েকটি উদ্ধার অভিযানের প্রয়োজন হতে পারে।
অনেক নারী জোর দিয়ে বলেছেন, তাদের স্বামীরা প্রতারণা করে বা চাপ প্রয়োগ করে তাদেরকে সিরিয়ায় নিয়ে গেছে।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় বিরোধী আইনপ্রণেতাদের বিশ্বাস, এদের প্রত্যাবাসন অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে কারণ তাদের হয়ত উগ্রবাদে দীক্ষিত করা হয়েছে। । পুলিশ এবং এএসআইও নামে পরিচিত অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশনের তত্ত্বাবধান এবং নজরদারির আর্থিক খরচ নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।
২০১৯ সালে শিবির থেকে একজন গর্ভবতী কিশোরীসহ ৮ জন অস্ট্রেলীয় অনাথকে উদ্ধার করার জন্য অস্ট্রেলিয়া একটি গোপন মিশন হাতে নিয়েছিল।
কিন্তু তারপর থেকে নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে ক্যানবেরা আরও প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম প্রত্যাখ্যান করেছিল। তবে কর্মকর্তারা এখন বিশ্বাস করেন যে নারী ও তাদের শিশুদের উদ্ধার করা নিরাপদ।
সিরিয়ার শিবিরে আটকে পড়া বন্দিদের আইনজীবী বলেছেন, শীত ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ক্যাম্পের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি “অস্থির এবং অনিরাপদ।”
সিরিয়ার শিবির থেকে জার্মানি তাদের ৯১ জন নাগরিককে প্রত্যাবাসন করেছে। ফ্রান্স ৮৬ জন এবং যুক্তরাষ্ট্র ২৬ জন নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে এনেছে।
কাজাখাস্তান,কসোভো এবং রাশিয়াও তাদের অনেক নাগরিককে প্রত্যাবাসন করেছে।