ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি সোমবার বলেন যে, গত মাসে পুলিশি হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুর পর ব্যাপক বিক্ষোভগুলো “সাধারণ ইরানীদের” কর্মকাণ্ড নয়। বিক্ষোভগুলো পরিকল্পনার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে দায়ী করেন।
তৃতীয় সপ্তাহে চলমান বিক্ষোভগুলো পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর দমনের মুখে পড়ে। সরকারি বিবৃতিগুলোর সংকলন থেকে গণনা করে, দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ১৪ জনের মৃত্যু ও ১,৫০০ জন গ্রেফতার হওয়ার খবর জানিয়েছে। অন্যদিকে, অধিকার সংস্থাগুলো বলছে, অন্তত ১৩০ জন নিহত হয়েছে ও হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খামেনি বলেন, ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যু একটি “দুঃখজনক ঘটনা” এবং এজন্য তিনি মর্মাহত।
ইরানের নৈতিকতা পুলিশ তেহরানে আমিনিকে এই অভিযোগে গ্রেফতার করে যে, তিনি দেশটির কঠোর পোশাকনীতি মেনে চলেননি। তার তিনদিন পর, কোমা’য় থাকা অবস্থায় এক হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সরকার বলে যে, তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। তার পরিবার এমন দাবি নাকচ করে দিয়ে বলে যে, আমিনির হৃদযন্ত্রে সমস্যার কোন ইতিহাস ছিল না এবং পাল্টা দাবি করে যে তাকে মারধর করা হয়েছিল। তারা এ বিষয়ে জবাবদিহিতার আহ্বান জানান।
আমিনির মৃত্যুর পর আরম্ভ হওয়া বিক্ষোভগুলোতে ইরানের দমনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে, রবিবার বেশ কয়েকটি শহরে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন যে, আমিনির এখনও জীবিত থাকার কথা ছিল।
গত সপ্তাহে তিনি বলেন, “একমাত্র যে কারণে তিনি [বেঁচে] নেই, সেই কারণটি হল যে, এক নির্মম শাসকগোষ্ঠী তার জীবন কেড়ে নিয়েছে, কারণ তিনি কি পরবেন বা না পরবেন সেই বিষয়ে তার নিজের যেই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার কথা [সেগুলো তিনি নিয়েছিলেন বলে]।”