অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পাকিস্তানে ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত রোগ; হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া ভীড়


পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সেহওয়ানে তুমুল বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের গবাদি পশু নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সেহওয়ানে তুমুল বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের গবাদি পশু নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।

সেহওয়ান নামের দক্ষিণ পাকিস্তানের একটি ছোট শহরের প্রধান সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে উপচে পড়া ভীড়।

সাম্প্রতিক এক সফরে রয়টার্স দেখেছে, ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য মরিয়া কয়েকশো মানুষ হাসপাতালটির কক্ষগুলো এবং করিডোরে জড়ো হয়েছে। পাকিস্তানে কয়েক দশকের মধ্যে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার পরে এ ধরনের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

লাখ লাখ পাকিস্তানি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে গেছে। তারা তাদের বসবাসের জন্য স্থাপন করা সরকারি শিবিরে অথবা খোলা জায়গায় বাস করছে।

শত শত বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত বন্যার পানি আটকে রয়েছে। কিছু জায়গায় বন্যার পানি কমতে ২ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে। বন্যার ফলে ইতোমধ্যেই ত্বক ও চোখের সংক্রমণ, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড এবং ডেঙ্গু জ্বরের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

এই সংকট পাকিস্তানকে বিশেষ করে দেশটির একটি খারাপ সময়ে আঘাত করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ঋণ নেয়া দেশটি অর্থনৈতিক সংকটে থাকায় বন্যার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব মোকাবিলা করার মতো সংস্থান দেশটির নেই।

প্রবল বর্ষা এবং হিমবাহ গলে যাওয়ার কারণে বন্যায় প্রায় ১ হাজার ৭শ মানুষ মারা গেছে। পাকিস্তানের অনুমান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩ হাজার কোটি ডলার। এ বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে পাকিস্তানের সরকার এবং জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যার কারণে সৃষ্ট পানিবাহিত রোগে ৩৪০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সারা দেশে বিশেষ করে সিন্ধুতে ছড়িয়ে পড়া পানিবাহিত রোগের আসন্ন “দ্বিতীয় বিপর্যয়” নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

XS
SM
MD
LG