ইরানে পুলিশ হেফাজতে এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হওয়া বিক্ষোভ তৃতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে। শনিবার ইরান জুড়ে বিক্ষোভকারীরা মিছিল করে এবং দেশটির কুর্দি অঞ্চলগুলো জুড়ে ধর্মঘটের খবর পাওয়া গিয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমগুলোতে করা পোস্টগুলোতে তেহরান, ইস্পাহান, রাশত ও শিরাজ সহ ইরানের বড় শহরগুলোতে মিছিল হতে দেখা গিয়েছে।
তেহরানের ঐতিহ্যগত বাজার নামের বাণিজ্যিক এলাকাটিতে, সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা এই বলে স্লোগান দেন যে, “আমরা ঐক্যবদ্ধ না হলে আমাদেরকে একে একে মেরে ফেলা হবে”। একই সময়ে অপর এক জায়গায়, তারা সড়কবিভাজক থেকে একটি বেষ্টনী খুলে নিয়ে তা দিয়ে একটি প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেয়। বহুল পরিচিত তাসভির১৫০০ নামের টুইটার অ্যাকাউন্টটির শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে এমন চিত্র দেখা গিয়েছে।
বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ডজনকয়েক মানুষকে গ্রেফতার করা হয় বলে, তাসভির১৫০০ জানায়। আধা-সরকারি ফার্স সংবাদ সংস্থাটি জানায় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের এক চত্বরে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাসভির১৫০০ আরও একটি ভিডিও পোস্ট করে, যেটি সম্পর্কে বলা হয় যে, সেটি ইস্পাহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে ধারণ করা হয়েছে। ভিডিওটিতে গুলির আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। পৃথক আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে একদল মানুষকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো রয়টার্স যাচাই করতে পারেনি।
এদিকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে যে, বিক্ষোভগুলোতে সরকারের দমনের কারণে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছে এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছে। অধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ডজনকয়েক সক্রিয়কর্মী, শিক্ষার্থী ও শিল্পীদের আটক করা হয়েছে।