গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে বৃহস্পতিবার এম-২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় একজন নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কঙ্গোর উত্তর কিভু প্রদেশের রুতশুরু শহরে এম-২৩ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে সুশীল সমাজের দলগুলি। গ্রীষ্মের পর থেকে বেশ কিছু অঞ্চলে দখলদারিত্ব কায়েম করেছে এম-২৩ বিদ্রোহীরা।
বেশিরভাগ কঙ্গোলিজ জাতিগত টুটসি গোষ্ঠী, এম-২৩ প্রথম ২০১২ সালে ওই অঞ্চলে প্রসিদ্ধি লাভ করে। বিতাড়িত হওয়ার আগে উত্তর কিভুর রাজধানী গোমার কিছু অংশ তারা দখল করে ফেলেছিল।
এম-২৩ বিদ্রোহীরা বছরের পর বছর নীরব থাকার পর, অবশেষে ২০২১ সালের শেষের দিকে আবারও যুদ্ধ শুরু করে। তখন থেকে তারা উগান্ডা সীমান্তের কৌশলগত শহর বুনাগানাসহ উত্তর কিভু জুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে।
কঙ্গো বারবার মধ্য আফ্রিকান প্রতিবেশী রুয়ান্ডাকে এম-২৩ বিদ্রোহীদের সমর্থন করার জন্য অভিযুক্ত করেছে, যদিও কিগালি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার, বিক্ষোভকারীরা বুনাগানায় এম-২৩ বিদ্রোহীদের দখলের ১০০ তম দিনে রুটশুরুতে সামরিক প্রশাসকের অফিসের বাইরে জড়ো হয়।
স্থানীয় সুশীল সমাজ গোষ্ঠীর মুখপাত্র জাস্টিন বিন সেরুশাগোর মতে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালায়। এতে একজন নিহত এবং অপর দু’জন আহত হয়।
তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, "এম২৩-এর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুতেই এখান থেকে সরবো না।"
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে রুটশুরু জেনারেল হাসপাতালের একজন আধিকারিক নিশ্চিত করেছেন, এক যুবক বুকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর মারা গেছেন।
রুটশুরুতে একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, বিক্ষোভে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে তিনি বিস্তারিত আর কিছুই বলেননি।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে সেনাবাহিনী এবং এম-২৩ উভয় পক্ষই তুলনামূলকভাবে শান্ত অবস্থানে রয়েছে, সৈন্য এবং বিদ্রোহীরা কোনরকম সংঘর্ষে জড়িত না হয়ে, তাদের অবস্থান থেকে একে অপরকে পর্যবেক্ষণ করছে।
আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যস্থতায় বুধবার নিউইয়র্কে কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সাথে দেখা করার পর, রুটশুরুতে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।