ইউক্রেনে লড়াই করতে আংশিক বেসামরিকদের সেনাবাহিনীতে সংযোজনের প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণার বিরুদ্ধে রাশিয়া জুড়ে হওয়া বিক্ষোভে ১,৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বুধবার এক পুলিশ পর্যবেক্ষক সংস্থা জানায়।
সকালবেলা পুতিনের জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণের পর, ওভিডি-ইনফো পর্যবেক্ষক সংস্থাটি দেশজুড়ে ৩৮টি শহরে র্যালিতে অন্তত ১,৩৩২ জনের আটক হওয়ার ঘটনা গণনা করেছে।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কেন্দ্রে অবস্থিত এএফপি’র সাংবাদিকরা জানান, বিপণীবিতান সম্বলিত প্রধান এক সড়কে, দাঙ্গাবিরোধী পোশাক পরিহিত পুলিশ অন্তত ৫০ জনকে আটক করে।
রাজতন্ত্রকালীন রাশিয়ার সাবেক রাজধানী, সেইন্ট পিটার্সবার্গে, এএফপি সাংবাদিকরা পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট দলকে ঘিরে, তাদেরকে আটক করে একটি বাসে তুলে নিয়ে যেতে দেখেছেন।
বিক্ষোভকারীরা “কোন সৈন্য সংযোজন নয়” বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
শান্তির চিহ্ন পরিহিত এক শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারী, ভ্যাসিলি ফেডোরভ বলেন, “সকলেই ভীত। আমি শান্তির পক্ষে এবং আমি গুলি চালাতে চাই না। কিন্তু এখন বাইরে আসা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, নাহলে আরও অনেক মানুষ হত।”
নিজের পুরো নাম জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে, অ্যালেক্সেই নামের ৬০ বছর বয়সী এক বাসিন্দা বলেন, “আমি র্যালিতে অংশগ্রহণের জন্য এসেছিলাম, কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে তারা ইতোমধ্যেই সবাইকে গ্রেফতার করেছে। শাসকগোষ্ঠী নিজেদের দোষী বানিয়ে ফেলেছে এবং দেশের তরুণ [সমাজকে] ধ্বংস করে দিচ্ছে।”
ওকসানা সিডোরেঙ্কো নামের এক শিক্ষার্থী এএফপি-কে বলেন, “আমি এসেছিলাম এটা বলতে যে আমি যুদ্ধ ও সৈন্য সংযোজনের বিপক্ষে। তারা আমার হয়ে আমার ভবিষ্যত কেন নির্ধারণ করছে? আমি নিজেকে নিয়ে, আমার ভাইকে নিয়ে শঙ্কিত।”
ইন্টারফ্যাক্স সংবাদ সংস্থাটি রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে মন্ত্রক বলেছে তারা “অননুমোদিত সমাবেশ আয়োজনের” চেষ্টাকে ভেস্তে দিয়েছে।
তাতে আরও বলা হয়, সকল বিক্ষোভ থামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং যারা নিয়ম “লঙ্ঘন” করেছে তাদের গ্রেফতার করে, তদন্ত ও বিচার নিষ্পন্ন করতে পুলিশ সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
এই সপ্তাহে রাশিয়া ছেড়ে আসা ফ্লাইটগুলো প্রায় পুরোপুরি ভর্তি ছিল বলে, এয়ারলাইন ও ট্রাভেল এজেন্টদের তথ্য থেকে দেখা গিয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে, সংঘাতে যোগ দিতে অনিচ্ছুক মানুষজনের রাশিয়া ছাড়ার ঢল নেমেছে।