মঙ্গলবার কাতারের শাসক বলেছেন, এলজিবিটিকিউ অধিকার কর্মীদের বর্ণিত ভীতি হ্রাস করার জন্য সমস্ত ভক্তকে “বৈষম্য ছাড়াই” এই বছরের বিশ্বকাপে স্বাগত জানানো হবে।
উপসাগরীয় রাষ্ট্রটিতে সমকামিতা অবৈধ। ২০ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টে সমকামী দম্পতিরা সরকারের কোনো শাস্তির মুখোমুখি হবে না- অধিকার গোষ্ঠীগুলোকে এমনটা আশ্বস্ত করতে আয়োজকদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেছেন, কাতারের জনগণ “ফুটবল ম্যাচ এবং টুর্নামেন্টের আশ্চর্যজনক পরিবেশ উপভোগ করার জন্য বৈষম্য ছাড়াই সকলের (সমর্থকদের) জন্য আমাদের দরজা খুলে দেবে।”
মুসলিম রাষ্ট্র কাতার নিজেদের একটি রক্ষণশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে। নারী অধিকার এবং লেসবিয়ান, সমকামী, উভকামী, ট্রান্সজেন্ডার এবং কুইয়ার সম্প্রদায় বিশ্বকাপের কারণে প্রাধান্য পাচ্ছে।
এই বছর কাতারের কর্মকর্তাদের মন্তব্যের পর ফিফা পুনরায় নিশ্চিত করেছে যে, স্টেডিয়ামের চারপাশে এলজিবিটিকিউ রংধনু পতাকা লাগানোর অনুমতি দেয়া হবে।
আয়োজক দেশ অধিকার গোষ্ঠীগুলোকে এই বার্তা বোঝানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করছে যে, আইন থাকা সত্ত্বেও “সকলকে স্বাগত জানানো হবে।”
আয়োজক কমিটি এবং সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশ্বকাপ উপভোগ করবে বলে প্রত্যাশিত লাখ লাখ সমর্থকদের স্থানীয় সাংস্কৃতিক রীতিনীতিকে সম্মান করা উচিত।
সোমবার নিউইয়র্কে একটি সম্মেলনে এলজিবিটিকিউ ভক্তদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে আয়োজক কমিটির প্রধান হাসান আল-থাওয়াদি বলেছেন, “আমরা জনসমাগম স্থলে অনুরাগ প্রদর্শনে বিশ্বাসী না, তবে আমরা সকল পটভূমি থেকে আগত সবাইকে স্বাগত জানাতেও বদ্ধপরিকর।”