পশ্চিম ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশের রাজধানী সানন্দাজ শহরের মানুষ ২২ বছর বয়সী মহিলা মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে, রবিবার টানা দ্বিতীয় রাতে রাস্তায় নেমে আসে। দেশটির হিজাব নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে, পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর, ১৬ সেপ্টেম্বর আমিনি মারা যায়।
অনলাইনে পোস্ট করা অপেশাদার একটি ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একদল নারী তাদের হিজাব খুলে ফেলছে এবং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে উদ্দেশ্য করে "একনায়কের মৃত্যু হোক" বলে স্লোগান দিচ্ছে।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি ছুড়ে এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে বলে জানা গেছে। হেনগাও অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটস নামে একটি সংস্থা যারা পশ্চিম ইরানের কুর্দি-অধ্যুষিত এলাকাগুলি পর্যবেক্ষণ করে, তারা বলছে, নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানও ব্যবহার করেছে।
সংঘর্ষে সানন্দাজে অন্তত নয়জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে ভর্তির পর কোমায় চলে গেলে, মস্তিষ্কের কোনো সক্রিয়তা না দেখায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসকরা আমিনীকে মৃত ঘোষণা করেন। এর তিনদিন পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়।
সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, আমিনি পশ্চিম ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশ থেকে তেহরানে আত্মীয়দের সাথে দেখা করার জন্য যাত্রা করেন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
হিজাব, মুসলিম মহিলাদের জন্য পরিধান করা মাথার একটি আবরণ। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর, ৯ বছরের বেশি বয়সী ইরানী নারী ও মেয়েদের জন্য জনসমক্ষে হিজাব পরিধান করা বাধ্যতামূলক করা হয়।