সরকার-সহযোগী সোমালি মিলিশিয়া অন্তত ৪৫ জন আল-শাবাব যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং তাদের কয়েকজনের শিরশ্ছেদ করেছে। রোববার তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী এ সংবাদ জানায়। দেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নাগরিকরা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে।
শনিবার হিরশাবেল রাজ্যের হিরান অঞ্চলে একটি যুদ্ধের পরে শিরশ্ছেদের এই ঘটনা ঘটে। সেখানে এই মাসে আল-শাবাব এবং ফেডারেল সরকারের মিত্র সদ্য সম্প্রসারিত মিলিশিয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য লড়াই হয়েছে।
আল-শাবাব একটি আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামপন্থী দল। ২০০৬ সাল থেকে সোমালিয়ার দুর্বল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তারা লড়াই করছে। তারা শরিয়া আইনের কঠোর ব্যাখ্যা বাস্তবায়ন করতে চায়।
আল-শাবাব হিরান অঞ্চলে ক্রমাগত বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, কূপ ধ্বংস করেছে এবং বেসামরিক মানুষদের শিরশ্ছেদ করেছে বলে বাসিন্দারা বলছেন। ৪০ বছরের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট খরা এবং আল-শাবাবের দাবিকৃত কর বাসিন্দাদের অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য করেছে।
মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করলে সোমালিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ মোয়ালিম ফিকির তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বয়োবৃদ্ধ হাসান ফারাহ রয়টার্সকে বলেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোকে যোদ্ধারা আল-শাবাবের কাছ থেকে ১০টি গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে।
নিকটবর্তী গালমুদুগ রাজ্যের বাসিন্দারাও অস্ত্র হাতে নিচ্ছেন।
শনিবার ফেডারেল সরকার গালমুদুগ যোদ্ধাদের শক্তিশালী করার জন্য সেনা পাঠিয়েছে। সোমালি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি একথা জানিয়েছে।
এই মাসের শুরুতে আল-শাবাব জঙ্গিরা কমপক্ষে ১৮ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে এবং খাদ্য সহায়তার ট্রাক ধ্বংস করে। আগস্টে তারা একটি হোটেল অবরোধ করে ২০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল।
১৯৯১ সাল থেকে সোমালিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। তখন গোষ্ঠী-ভিত্তিক সেনাপতিরা একজন স্বৈরশাসককে উৎখাত করেছিল। তারপর একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।