রবিবার রাতে টাইফুন নানমাডল দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানে আঘাত হেনেছে। কর্তৃপক্ষ শক্তিশালী ঝড়ের ভারি বাতাস এবং প্রবল বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে লাখ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করেছে।
নানমাডোলে প্রতি ঘণ্টায় ২৩৪ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়েছিল এবং ইতোমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম কিউশু অঞ্চলের কিছু অংশে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ৫০০ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে।
কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ কিউশুর কাগোশিমা এবং মিয়াজাকি জেলার আশ্রয়কেন্দ্রে রাত কাটাচ্ছে। সেখানে জেএমএ একটি বিরল ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি করেছে। কয়েক দশকে একবার দেখা যায় এমন পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়ার জন্য এমন সতর্কতা জারি করা হয়।
জাতীয় প্রচারমাধ্যম এনএইচকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বলেছে, ঝড় থেকে বাঁচতে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে বা মজবুত ভবনে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
অপসারণ সতর্কতা বাধ্যতামূলক নয়, এবং মাঝে মাঝে কর্তৃপক্ষকে চরম আবহাওয়ার আগে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য রাজি করাতে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
তারা সপ্তাহান্তে আবহাওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের উদ্বেগগুলো জনসাধারণকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল।
জেএমএ সতর্ক করেছে যে, অঞ্চলটিকে প্রবল বাতাস, ঝড়বৃষ্টি এবং মুষলধারে হওয়া বৃষ্টি থেকে ‘নজিরবিহীন’ বিপদের মুখোমুখি হতে পারে এবং ঝড়টিকে তারা ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছে।
রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, অঞ্চলজুড়ে প্রায় ২ লাখ বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
ঝড় শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন, বিমান এবং ফেরি চালানো বাতিল করা হয়েছিল এবং এমনকি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এমন কিছু দোকান তাদের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। দোকানগুলোকে দুর্যোগের সময় জীবনরক্ষাকারি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।