মঙ্গলবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলে আরও দূরত্ব অতিক্রম করে ভভচানস্ক শহরটি আবারও দখল করে নিয়েছে। মস্কোর বাহিনী প্রায় ৭ মাস আগে তাদের অভিযানের প্রথম দিন রুশ সীমান্ত থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শহরের দখল নিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার রুশদের পিছু হটার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সমন্বয়কারী জন কার্বি হোয়াইট হাউজে সংবাদদাতাদের বলেন, ‘আমার মতে, আপনারা যা দেখছেন, তা হল যুদ্ধের মোড় ঘুরে যাওয়া।’
পেন্টাগনের কর্মকর্তারাও মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন, খারকিভের ভেতরে ও এর আশেপাশে মোতায়েন কিছু রুশ সেনা সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে চলে গেছে। তবে রাশিয়া হাল ছেড়ে দিয়েছে, এমন ভাবার কোন কারণ নেই বলেও তারা জানান।
ইউক্রেনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেন, রাশিয়ার সামরিক অভিযান বাধাগ্রস্ত হওয়ায় তারা ইউক্রেনের জ্বালানি ও আর্থিক খাতের ওপর বার বার সাইবার হামলা চালাতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও উল্লেখ করেন, সম্প্রতি রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে, যার ফলে ইউক্রেনজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলেজর মুখপাত্র জানিয়েছেন যে শোলজ এক ফোনকলে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে ‘যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ-বিরতির মাধ্যমে একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার আবেদন জানান। এছাড়াও, তিনি ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানিয়ে রুশ বাহিনীকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, এটা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে যে রাশিয়া তাদের নিজেদের বাহিনী ও ইউক্রেনের সামরিক শক্তিমত্তা, উভয়ের ব্যাপারেই ‘হিসেবে বড় ধরণের ভুল করেছে’, এবং এ বিষয়টি এখন রুশ আগ্রাসনকে প্রভাবিত করছে।
রাশিয়া গোলা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। ইউক্রেনের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ জানান, খারকিভের লোজোভা শহরে ৩ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন।
ঝাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কাছাকাছি অঞ্চলেও যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। কর্মকর্তারা এই অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।