অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সর্বশেষ চুল্লিটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে: ইউক্রেন


রুশ নিয়ন্ত্রিত ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি দৃশ্য, ২২ আগস্ট ২০২২। (ফাইল ফটো)
রুশ নিয়ন্ত্রিত ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি দৃশ্য, ২২ আগস্ট ২০২২। (ফাইল ফটো)

ইউক্রেন রবিবার জানিয়েছে যে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত রুশ নিয়ন্ত্রিত ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ষষ্ঠ ও সর্বশেষ চুল্লিটিতে আর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে না।

রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা এনেরগোঅ্যাটম এক বিবৃতিতে বলে, “আজ, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, রাত ৩:৪১ মিনিটে (০১৪১ জিএমটি), জেডএনপিপি’র ইউনিট নং ৬-কে বৈদ্যুতিক গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। সেটিকে শীতলীকরণ করে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় স্থানান্তরের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।”

ইউক্রেন ও তাদের মিত্ররা ঝাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নিরাপদভাবে পরিচালনার বিষয়ে ক্রমবর্ধমানভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠে। ঐ এলাকায় সাম্প্রতিক লড়াই সেখানে দুর্ঘটনার শঙ্কা বৃদ্ধি করেছে। এটিই ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।

জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি এই সপ্তাহে এর আগে সতর্ক করে যে, নিকটবর্তী এনেরহোদার শহরে বিদ্যুৎবিভ্রাটের ঘটনা এই পারমাণবিক স্থাপনাটি “নিরাপদভাবে পরিচালনার বিষয়কে ব্যাহত” করেছে।

এনেরগোঅ্যাটম রবিবার বলে যে, চুল্লিটিকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা সেটির জন্য “সর্বাপেক্ষা নিরাপদ অবস্থান”।

এনেরগোঅ্যাটম বলে যে, ষষ্ঠ চুল্লিটি তিনদিন ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিজের জন্যই বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আসছিল। বাইরে থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনঃসংযোগ করা হলে, চুল্লিটি পরিচালনা করা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিবৃতিতে তারা সতর্ক করে বলে, “স্থাপনাটিকে বাইরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সাথে সংযোগকারী সরবরাহ লাইনটি যদি বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় – যেটির বেশ ঝুঁকি রয়েছে, তাহলে ডিজেল জেনারেটরের মাধ্যমে [বিদ্যুৎকেন্দ্রটির] চাহিদা মেটানো হবে।”

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির আশেপাশে একটি বেসামরিকীকৃত অঞ্চল স্থাপনের জন্য এনেরগোঅ্যাটম তাদের বিবৃতিতে আবারও আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছে যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এটিই একমাত্র উপায়।

XS
SM
MD
LG