অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাল্টিক সাগরের বায়ু-বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দ্বীপে সংযোগ স্থাপন নিশ্চিত করেছে জার্মানি


উইন্ড টারবাইনগুলো উত্তর জার্মানির বাল্টিক সাগরে আরকোনা উইন্ড পার্কে চিত্রিত হয়েছেদ। ৫ জুন, ২০১৯। ফাইল ছবি।
উইন্ড টারবাইনগুলো উত্তর জার্মানির বাল্টিক সাগরে আরকোনা উইন্ড পার্কে চিত্রিত হয়েছেদ। ৫ জুন, ২০১৯। ফাইল ছবি।

জার্মানি বাল্টিক সাগরের ডেনমার্ক অংশে স্থাপন করতে যাওয়া একটি উপকূলবর্তী বায়ু-বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এটি রাশিয়ার ওপর জার্মানির জ্বালানির নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে। সোমবার ডেনমার্কের জ্বালানি মন্ত্রক একথা জানায়।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানায়, ২০৩০ সালের মধ্যে, বর্নহোম দ্বীপে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিদ্যূৎকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হবে বাল্টিক সাগরের উপকূলবার্তী অনেকগুলো উইন্ড পার্ক। এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে কমপক্ষে তিন গিগাওয়াট; যা জার্মানির ৪৫ লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যথেষ্ট।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ৪৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাওয়ার ক্যাবলের মাধ্যমে জার্মানির সাথে সংযুক্ত হবে।

বিবৃতিতে, কোন আর্থিক বিবরণ উল্লেখ না করেই বলা হয়েছে, এই বিদূৎকেন্দ্রের জন্য বিনিয়োগ এবয় ভবিষ্যত লাভ জার্মানি এবং ডেনমার্কের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হবে।

জার্মানির অর্থনীতি ও জলবায়ু মন্ত্রী রবার্ট হাবেক বিবৃতিতে বলেছেন, “ডেনিশ-জার্মান সহায়তা প্রকল্পটি একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প।”

তিনি বলেন, “বর্নহোম এনার্জি আইল্যান্ডের পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ জাতীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্পূরক হিসেবে কাজ করবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানিতে আমাদের নির্ভরতা হ্রাস করবে।”

গত বছর দেশ দুটি একটি ক্ষুদ্রতর আন্তঃসীমান্ত ক্যাবল সংযোগের কাজ শুরু করে যা বাল্টিক সাগরের বেশ কয়েকটি বায়ও-বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে যুক্ত করছে।

বর্নহোম এনার্জি আইল্যান্ড হলো ডেনমার্কের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। যার লক্ষ্য হলো ,২০৩০ সালের মধ্যে অভ্যন্তরীণ অভ্যন্তরীন উপকূলবার্তী বায়ু-বিদ্যূৎ উৎপাদন ৫ গুণ বাড়ানো।

দেশগুলো এর আগে, ভবিষ্যত উপকূলীয় বায়ু-বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে, উত্তর সাগরের তলদেশ দিয়ে একটি অভিন্ন বিদ্যুৎ গ্রিড নির্মান করতে, উত্তর ইউরোপীয় দেশগুলোর নেওয়া পরিকল্পনাগুলো অর্থায়ন এবং বিধি-বিধান সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েচিল।

মঙ্গলবার ডেনমার্ক বাল্টিক সাগরের ঐ দ্বীপে একটি জ্বালানি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে।

XS
SM
MD
LG