পূর্ব বুরকিনা ফাসোর বুনগাউ সোনার খনি থেকে একটি গাড়ী বহরের উপর অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়েছে। এতে ছয়জন নিহত এবং আরও দু'জন আহত হয়েছে বলে শনিবার দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে, টরন্টো-ভিত্তিক এন্ডেভার মাইনিংয়ের মালিকানাধীন একটি খনি থেকে পাঁচটি যানবাহন পাঠানো হয়। ওই যানবাহনগুলো কয়েকদিন ধরে খনির কাছাকাছি কাদায় আটকে থাকা অপর একটি গাড়ী বহরকে উদ্ধার করতে সাহায্য করছিল।
বহরটি আবারও রাস্তায় নামার পর পরই এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা গাড়ী বহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পাঁচটি সহায়ক যানকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর বৃহত্তম সোনার খনি, এন্ডেভারকে, হামলার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে, তার কোনো জবাব তারা দেয়নি। নিহতরা এন্ডেভারের কর্মচারী কিংবা এর অংশীদার কিনা, অথবা খনির কার্যক্রম এতে ব্যাহত হয়েছে কিনা, তাও তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।
সেনাবাহিনী তার বিবৃতিতে বলেছে, "যে পাঁচটি যানবাহনে হামলা চালানো হয়, সেগুলো সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে বহরের পেছনেই ছিল। তবে এর কারণ এখনও জানা যায়নি। "
বুর্কিনা ফাসোতে কাজ করার কতটা বিপদজনক, এই হামলার ফলে তা আবারও স্পষ্ট হল। ২০১৮ সাল থেকে দেশটিতে ইসলামিক স্টেট এবং আল-কায়েদার সাথে সম্পৃক্ত ইসলামপন্থী জঙ্গিরা উত্তর এবং পূর্বের বিশাল এলাকা দখল করে রেখেছে, হাজার হাজার মানুষকে তারা হত্যা করেছে এবং দশ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এর আগে, ২০১৯ সালে বুনগাউ খনির কর্মীদের বহন করা একটি বাসে অতর্কিত হামলায় ৩৯ জন নিহত হয়। সেই সময়, খনিটি কুইবেক-ভিত্তিক সেমাফো-এর মালিকানাধীন ছিল। পরবর্তীতে ২০২০ সালে এন্ডেভার খনিটি অধিগ্রহণ করে।
বুনগাউ-এর কর্মীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তারা ২০১৯ সালে আক্রমণের কয়েক মাস আগে সড়কে জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।