অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

উইঘুরের গণ বন্দি সংক্রান্ত প্রতিবেদন আবার বিলম্বিত হতে পারে


Iসিনহুয়া নিউজ এজেন্সির প্রকাশিত এই ফাইল ছবিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডানে) এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটকে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে। ২৫ মে, ২০২২।
Iসিনহুয়া নিউজ এজেন্সির প্রকাশিত এই ফাইল ছবিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডানে) এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটকে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে। ২৫ মে, ২০২২।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট বৃহস্পতিবার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, ৩১ আগস্ট তিনি তার দায়িত্ব ছাড়ার আগে চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুরদের গণ বন্দি করার বিষয়ে একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন কিনা।

জুনে যখন তিনি তার প্রস্থানের ঘোষণা দেন, তখন ব্যাশেলেট বলেছিলেন যে, তিনি তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করবেন। হাই কমিশনার হিসেবে তার চূড়ান্ত ব্রিফিং-এ তিনি বলেছিলেন যে, তিনি আশা করেন এটি সম্ভবপর হবে তবে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, এটির প্রকাশ আবার বিলম্বিত হতে পারে।

মানবাধিকার কর্মীরা চীনকে তথাকথিত বৃত্তিমূলক শিবিরে ১০ লাখ উইঘুর এবং অন্যান্য তুর্কিচ মুসলিমদের গণ আটক, নির্যাতন এবং সাংস্কৃতিক নিপীড়নের জন্য অভিযুক্ত করেছেন। চীন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মানুষেরা ভালো চাকরি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করে।

জুলাই মাসে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চীন ব্যাশেলেটকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল। চিঠিতে তাকে প্রতিবেদনটি প্রকাশ না করতে বলা হয়। তিনি সেই চিঠির প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছেন। চিঠিটিতে প্রায় ৪০টি দেশের কুটনীতিকদের স্বাক্ষর ছিল।

হাইকমিশনার বলেন, মানবাধিকারের বিষয়ে সকলের দৃষ্টির সামনে থাকা দেশগুলোর কাছ থেকে এই ধরনের অনুরোধ অস্বাভাবিক নয়। তিনি আরও বলেন, তিনি চাপের কাছে নতি স্বীকার করেন না।

গত ৩ বছর ধরে প্রতিবেদনের কাজ চলছে। হাইকমিশনারের ম্যান্ডেটের এক সপ্তাহ বাকি আছে। তিনি সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন যে, তিনি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যেমন, ৩১ আগস্ট তিনি দায়িত্ব ছাড়ার আগে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার জন্য কঠোর চেষ্টা করছেন।

XS
SM
MD
LG