অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বৈরুত বন্দরের বিধ্বস্ত সাইলোগুলোর বড় অংশ ধসে পড়েছে


ভিডিওচিত্র থেকে নেয়া এই ছবিতে লেবাননের বৈরুত বন্দরে ২০২০ সালের আগস্টে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত সাইলোগুলো থেকে ধোঁয়া আর ধুলো উড়তে দেখা যাচ্ছে। ২৩ আগস্ট, ২০২২।
ভিডিওচিত্র থেকে নেয়া এই ছবিতে লেবাননের বৈরুত বন্দরে ২০২০ সালের আগস্টে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত সাইলোগুলো থেকে ধোঁয়া আর ধুলো উড়তে দেখা যাচ্ছে। ২৩ আগস্ট, ২০২২।

বৈরুত বন্দরের বিধ্বস্ত গুদামগুলোর (সাইলো) আরেকটি উল্লেখযোগ্য অংশ মঙ্গলবার সকালে ধসে পড়েছে। এ সময় চার পাশ ধূলার মেঘে ঢেকে যায়। এলাকাটি আগে থেকেই খালি ছিল বলে কোনো আহতের খবর পাওয়া যায়নি। এই ধস, ২০২০ সালের আগস্টের ভয়াবহ বিফোরণের বেদনাদায়ক স্মৃতি জাগিয়ে তোলে।

৫০ বছরের পুরনো, ৪৮ মিটার (১৫৭ ফুট) উচুঁ সাইলোগুলো ২০২০ সালের ৪ আগস্টের বিস্ফোরণের শক্তিকে প্রতিহত করতে পেরেছিল। এর মাধ্যমে কার্যকরভাবে বৈরুতের পশ্চিম অংশ বিস্ফোরণ থেকে রক্ষা পায়। ঐ বিস্ফোরণে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়। আহত হয় ছয় হাজারেও বেশি মানুষ। আর আশেপাশের সমস্ত এলাকাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

এপ্রিলে লেবানন সরকার সাইলোগুলো ভেঙে ফেলবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তিদের পরিজন এবং বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের প্রতিবাদের মুখে সিদ্ধান্তটি স্থগিত করা হয়। তারা দাবি করে যে, সাইলোগুলোতে এমন কিছু প্রমাণ থাকতে পারে যা বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য দরকারি হতে পারে এবং এগুলোকে ২০২০ সালের ট্র্যাজেডির স্মারক হিসেবে রেখে দেয়া উচিত।

জুলাই মাসে, পঁচে যাওয়া শস্যের কারণে, সাইলোগুলোর উত্তর ব্লকে আগুন লাগে। দমকলকর্মী এবং লেবাননের সৈন্যরা সে আগুন নেভাতে পারেনি। ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে সেখান থেকে ধোঁয়া উদগীরণ হতে থাকে। কর্মকর্তারা সতর্ক করেছিলেন যে, সাইলোটি ভেঙে পড়তে পারে। তারা আশঙ্কা করছিলেন যে দমকলকর্মী এবং সেনা সদস্যরা আগুন নেভাতে সাইলোর কাছকাছি যাচ্ছিল বা হেলিকপ্টার থেকে বালতির পর বালতি পানি ঢালছিল, তাদের জীবন বিপন্ন হতে পারে।

জুলাইয়ের শেষের দিকে দেশটির পরিবেশ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রক বন্দরের কাছাকাছি বসবাসকারীদের ভাল বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা সম্বলিত বাড়ির ভেতরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছিল।

XS
SM
MD
LG