সোমবার শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার সাথে সাথে ফিলিপাইনের লাখ লাখ শিশু স্কুলে ফিরে এসেছে। এদের অনেকেই কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পর প্রথমবারের মতো শ্রেণীকক্ষে এসেছে।
ফিলিপাইন হলো বিশ্বের সর্বশেষ দেশগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে, পরো সময় ধরে সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আবার শুরু করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে দেশের শিক্ষা সংকট ঘনিভূত হতে পারে, এই সতর্কবার্তার পর দেশটিতে আবার স্কুল খুলে দেয়া হলো।
মাস্ক এবং ইউনিফর্ম পরা শিশুরা, শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জন্য ম্যানিলার পেড্রো গুয়েভারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সরাসরি উপস্থিতিতে পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
তবে অনেক শিক্ষার্থীর অনেক কিছু শেখা বাকি।
বিশ্বব্যাংক এবং অন্য সংস্থাগুলো সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশটিতে মহামারীর আগেও ১০ বছর বয়সী ১০টি শিশুর মধ্যে ৯টি শিশু, একটি সহজপাঠ্য লেখাও বুঝে পড়তে পারতো না
আফগানিস্তান, লাওস, চাদ এবং ইয়েমেনসহ মাত্র ১০টি দেশের অবস্থা এর চেয়ে খারাপ।
মুখোমুখি ক্লাস পুনরায় শুরু হবার সাথে সাথে পুরনো সমস্যাগুলো আবার দেখা দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এক শ্রেণিতে অধিক শিক্ষার্থী, সেকেলে পাঠদান পদ্ধতি, দারিদ্র্য, এবং মৌলিক অবকাঠামো-যেমন টয়লেটের অভাব। এগুলোকে শিক্ষা সংকটের বড় কারণ বলে মনে করা হয়।
শ্রেণিকক্ষগুলো পুনরায় খোলার ব্যাপারটি কার্যকর করতে সরকার একটি টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে। আর, শিক্ষবর্ষ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পরিবহন সরবরাহ করা হবে।