বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় সুশীল সমাজের জন্য আরও ‘স্পেস’ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাচেলেট।
তিনি বলেছেন, "রাজনৈতিক দল, সংগঠন, মানবাধিকারকর্মী, বিরোধী দল, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের কর্মীদের সভা সমাবেশের সুযোগ দেয়া প্রয়োজন"৷
বুধবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে সামাজিক বিশৃঙ্খলা দূর করতে রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের মধ্যে আরও সংলাপের ‘স্পেস’ থাকা প্রয়োজন"।
বাচেলেট বলেন, অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ না করে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, নারী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী এবং বিশেষ করে তরুণদের বক্তব্য ও চাওয়া শোনা দরকার।
প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের কোনো মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
বাচেলেট বলেন, "আমি আশা করি আমার এই সফর জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা গড়ে উঠতে এবং সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে সহায়তা করবে"।
সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন ও শিক্ষামন্ত্রী এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বাচেলেট জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি কূটনৈতিক এবং শিক্ষাবিদদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
বাচেলেট জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
তিনি বলেন, সু"শীল সমাজের প্রতিনিধিরা গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ যা সরকার ব্যবহার করতে হবে"।
বাচেলেট বলেন, "সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমার আদান-প্রদান ছিল সমৃদ্ধ এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ"।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের পরবর্তী পর্যায়ের লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক এবং নাগরিক স্থানের পাশাপাশি কার্যকর, ভারসাম্যপূর্ণ এবং জবাবদিহিতা অপরিহার্য।
জাতিসংঘের হাইকমিশনার বলেন, "এটি টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির ঝুঁকি এবং অন্যান্য বাধা কমাতে অবদান রাখে"।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যাচেলেট সংখ্যালঘু গোষ্ঠী- যেমন হিন্দু এবং আদিবাসীদের সহিংসতা বা জমি দখল থেকে রক্ষা করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
গত রবিবার চারদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাচেলেট।