আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বৃহস্পতিবার নাগোর্নো-কারাবাখের বিতর্কিত অঞ্চলে নতুন এক লড়াইয়ে তিনজন সৈন্য মারা যাওয়ার পর রুশ শান্তিরক্ষীদের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
বুধবার বিতর্কিত ঐ পার্বত্য অঞ্চলে যেখানে মূলত জাতিগোষ্ঠীগত আর্মেনীয়ানরাই প্রধানত বসবাস করে, সেখানে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরে প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ান প্রতিবেশী মস্কো সম্পর্কে সমালোচনা করেন, যা ছিল এক বিরল ঘটনা।
সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান ১৯৯০-এর দশকে এবং ২০২০ সালে নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে দুইবার যুদ্ধে করেছে। সর্বশেষ যুদ্ধের পরিনামে আর্মেনিয়া কয়েক দশক ধরে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলির নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়।
রাশিয়া অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি রক্ষাকল্পে সেখানে প্রায় ২ হাজার শান্তিরক্ষী সেনা মোতায়েন করেছে কিন্তু যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।
পাশিনিয়ান সরকারি এক বৈঠকে বলেন, “নাগোর্নো-কারাবাখে রাশিয়ার শান্তিরক্ষা অভিযান নিয়ে আর্মেনিয়ার সমাজে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।”
তিনি শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতি "যুদ্ধবিরতি কালের গুরুতর,দীর্ঘলঙ্ঘনের " কথা তুলে ধরেন এবং তা কারাবাখের অধিবাসীদের জন্য "ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক ভীতির"ই সৃষ্টি করেছে বলে উল্লেখ করেন।
পাশিনিয়ান বলেন, রুশ শান্তিরক্ষা মিশনের ভূমিকা অবশ্যই 'স্পষ্ট' হতে হবে এবং আর্মেনিয়া আশা করছে যে এরা "যোগাযোগ রক্ষায় যে কোন লঙ্ঘন রোধের প্রচেষ্টা”কে প্রতিরোধ করবে।
উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে।
বুধবার, বাকু জানিয়েছে যে তারা তাদের একজন সৈন্যকে হারিয়েছে এবং কারাবাখ সেনাবাহিনী বলেছে যে তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছে।
আজেরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, কারাবাখ সেনারা লাচিন জেলায় তাদের সেনা অবস্থানলক্ষ্য করে হামলা চালায়। ঐ স্থানটি রুশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
আজেরি সেনাবাহিনী পরে জানিয়েছে যে এর জবাবে তারা “রিভেঞ্জ” নামে একটি অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি কৌশলগত অবস্থানের নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেয়।
শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে কৃষ্ণসাগরের অবকাশনিবাস শহর সোচিতে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২০২০ সালে নাগোর্নো-কারাবাখের যুদ্ধে তুরস্ক আজারবাইজানকে সমর্থন করেছিল।