নাইজেরিয়ার একটি শহরতলিতে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্টের গার্ডদের উপর অতর্কিত হামলা এবং একটি সামরিক তল্লাশি চৌকিতে মারাত্মক আক্রমণের পর, রাজধানী আবুজার আশেপাশে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে পুলিশ।
নাইজেরিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত ২৮শে জুলাইয়ের হামলায় দুই সেনা নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকেই আহত হয়েছে।
আবুজায় অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা দলের বৈঠকের পর মঙ্গলবার জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র মুইওয়া আদেজোবি এই শক্তিবৃদ্ধির ঘোষণা দেন।
আরও বিস্তারিত জানার জন্য বুধবার ভিওএ-এর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হলে, আদেজোবি তাতে সাড়া দেননি। তবে, আবুজা পুলিশের মুখপাত্র জোসেফাইন আদেহ ভিওএ-কে বলেছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে এই অভিযানের বিশদ বিবরণ আপাতত প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আদেহ বলেছেন, "অপরাধগুলি একটি নতুন প্রবণতা নিয়েছে এবং আমরাও নতুন কৌশল প্রণয়ন করছি, ব্যাস। আপনি আরও দৃশ্যমান পুলিশি উপস্থিতি দেখতে পাবেন।"
নাইজেরিয়ার রাজধানীতে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকির কারণে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যদিও কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য বলেছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার আবুজার কাছে নাইজার রাজ্যের একটি সামরিক চৌকিতে হামলায় দুই সেনা নিহত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে এটি ছিল আবুজায় দ্বিতীয় হামলা। এই হামলার জন্য জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট পশ্চিম আফ্রিকা প্রদেশকে দায়ী করা হয়েছে। গত মাসে আবুজার একটি কারাগারে হামলা চালিয়ে প্রায় ৪৪০ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, বন্দিদের মধ্যে অনেক কথিত সন্ত্রাসী রয়েছে।
আমেরিকার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ বলেছে, শুক্রবারের হামলাটি ইঙ্গিত দেয় যে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ নাইজেরিয়ার রাজধানীর খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।
পুলিশের মুখপাত্র আদেহ বলেছেন, বাসিন্দাদের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আস্থা রাখা উচিত।
তিনি বলেন, "আমরা সবসময় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে আসছি যে, সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তবে তারা ভুয়া খবর এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে যা দেখেন, তাই বিশ্বাস করতে পছন্দ করেন।"
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি দেশে এই সর্বসাম্প্রতিক হামলার নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন তিনি "এই উন্মাদনার অবসান ঘটাতে নিরাপত্তা বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন।"
কিন্তু নিরাপত্তা বিশ্লেষক সিনেটর ইরিওগবু বলেছেন, কর্তৃপক্ষ দেশকে নিরাপদ রাখার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
নাইজেরিয়া ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি, বিশেষ করে দেশটির উত্তরের রাজ্যগুলোতে।