ইরানে ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভূমিধ্বস ও বন্যায়, শুক্রবার অন্তত ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা এখন নিখোঁজ মানুষজনের সন্ধান করেছে। একথা জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জরুরি কার্যক্রমের প্রধান মেহদি ভালিপুর, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, দুইদিনের বন্যার পর ১৬ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এই বন্যায়, ইরানের ৩১টি প্রদেশের মধ্যে ১৮টি প্রদেশের ৪০০টি শহর ও গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকগুলো মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছিল ফিরোজ কুহ। তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আলবোর্জ পর্বতমালার পাদদেশে এলাকাটি অবস্থিত। সেখানে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে, তেহরানের গভর্নর মোহসেন মানসুরি রাষ্ট্রীয় টিভিকে জানিয়েছেন।
পরে, স্থানীয় সংবাদ সংস্থাগুলো তাকে উদ্ধৃত করে জানায় যে, ছয়জনের মত মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
মোহসেন মানসুরি জানান, তেহরান প্রদেশের উত্তরে অবস্থিত এলাকাগুলোতে শুক্রবারও বন্যার বিধ্বংসী রূপ ছিল। তিনি আরও জানান যে, বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ট্রেকিং করতে আসা মানুষজন ফিরোজ কুহ এর দিকে এগোচ্ছিল।
তেহরান থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফিরোজ কুহ শহরটি, গ্রীষ্মকালে সেটির ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য অবকাশযাপনকারীদের কাছে একটি পছন্দের জায়গা। ঐ এলাকাটির সবুজঘেরা প্রাকৃতিক পথগুলো ট্রেকারদের কাছেও বেশ জনপ্রিয়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, বৃহস্পতিবার হওয়া এক ভূমিধ্বসে অন্তত আটজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তেহরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইমামজাদেহ দাভুদ নামক গ্রামে বন্যার কারণে ঐ ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটে। ভূমিধ্বসটিতে সেখানকার এক ধর্মীয় মাজারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৪ জন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
গত শনিবার, দক্ষিণাঞ্চলের ফারস প্রদেশে হড়কাবানে ২২ জনের মৃত্যু হয়।