সোমবার তাইওয়ানের কিছু কিছু অংশে রাস্তা খালি করে দেওয়া হয় এবং মানুষজনকে ঘরের ভেতর থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়। এর মধ্যে রাজধানী তাইপেই ছিল। বিমানহামলার প্রস্তুতিমূলক মহড়া হিসেবে এমন করা হয়। চীন আক্রমণ করলে সেটির জন্য নিজেদের প্রস্তুতি বৃদ্ধি করছে দ্বীপদেশটি।
দুপুর ১:৩০ মিনিটে (০৫৩০ জিএমটি) বাধ্যতামূলক রাস্তা খালি করার মহড়াটির জন্য সাইরেন বাজতে আরম্ভ করে। এমন ক্ষেত্রে তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলের ছোট ও বড় শহরগুলো কার্যত ৩০ মিনিটের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে মানুষজনকে একটি “ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কতা” পাঠিয়ে অবিলম্বে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হয়।
ওয়্যান অ্যান নামের মহড়াটি তত্ত্বাবধান শেষে বক্তব্য দেওয়ার সময়ে তাইপেই-এর মেয়র কো ওয়েন-জে বলেন, “যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন”। ওয়্যান অ্যান মানে চিরস্থায়ী শান্তি।
গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে চীন। তারা কখনোই সেটিকে জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার সম্ভাবনা বাতিল করে দেয়নি। অপরদিকে, তাইওয়ান চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি নাকচ করে দিয়ে নিজেদের প্রতিরক্ষার অঙ্গীকার করে আসছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে তাইওয়ানেও নতুন করে এ নিয়ে বিতর্ক আরম্ভ হয়েছে যে, তাদের দেশে আক্রমণ হলে তাতে কিভাবে সাড়া দেওয়া উচিৎ। দ্বীপটির আশেপাশে চীনের সামরিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে।
কো বলেন, “চীনের সামরিক বিমান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘনঘন তাইওয়ানকে হয়রানি করেছে এবং ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়টিও রয়েছে, এই বিষয়গুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে শান্তিকালীন সময়েও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে দ্বীপটি নিজেদের সতর্কতার মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। যদিও তারা চীনের কোন অস্বাভাবিক সামরিক কর্মকাণ্ডের খবর জানায়নি।