কয়েক দশক ধরে ক্যাথলিক চার্চ পরিচালিত আবাসিক স্কুলে সংঘটিত নির্যাতনের শিকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কাছে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাইতে পোপ ফ্রান্সিস রবিবার রোম থেকে কানাডা পৌঁছেছেন।
বিশ্বের ১৩০ কোটি ক্যাথলিকের ধর্মীয় প্রধানকে এডমন্টন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং দেশের প্রথম আদিবাসী গভর্নর জেনারেল মেরি সাইমন।
৮৫ বছর বয়সী পোপের জন্য ১০ ঘন্টার এই ফ্লাইটটি ২০১৯ সালের পর দীর্ঘতম। তিনি হাঁটুর ব্যথায় ভুগে সাম্প্রতিক সময়ে লাঠি বা হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন।
ফ্রান্সিসের কানাডা সফরের মূল উদ্দেশ্য জাতীয় সত্য এবং মীমাংসা কমিশন অভিহিত "সাংস্কৃতিক গণহত্যা" কেলেঙ্কারীতে গির্জার ভূমিকার জন্য বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
যাত্রার আগে, পোপ টুইটারে বলেন, তিনি একটি "অনুতাপমূলক তীর্থযাত্রা" করছেন যা "ইতিমধ্যে গৃহীত মীমাংসা চেষ্টায় অবদান রাখতে পারে।"
সফরসংগী হিসেবে আছেন ভ্যাটিকানের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং তার কূটনীতি প্রধান কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলিন।
উনিশ শতকের শেষ দিক থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত, কানাডা সরকার প্রায় দেড় লক্ষ ফার্স্ট নেশনস, মেটিস এবং ইনুইট শিশুকে তাদের পরিবার, ভাষা এবং সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে চার্চ পরিচালিত ১৩৯ টি আবাসিক স্কুলে প্রেরণ করেছিল।
তাদের অনেকেই শিক্ষকদের দ্বারা শারীরিক ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।
হাজার হাজার শিশু রোগ, অপুষ্টি বা অবহেলায় মারা গেছে বলেও ধারণা করা হয়।
২০২১ সালের মে মাস থেকে এ পর্যন্ত ১,৩০০ টিরও বেশি অচিহ্নিত কবরের সন্ধান পাওয়া গেছে সাবেক এই স্কুলগুলোর জায়গায়।
গত এপ্রিলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একটি প্রতিনিধি দলের ভ্যাটিকানে সফরের পরই তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।
অনেকেই পোপের এই সফরকে খুব বেশি দেরী হয়ে গেছে বলে মনে করছেন। তেমনই একজন লিন্ডা ম্যাকগিলভরি এএফপি কে বলেন, "আবাসিক বিদ্যালয়ে পড়ার কারণে আমি আমার অনেক সংস্কৃতি, পূর্বপুরুষ হারিয়েছি। এটা অনেক বছরের ক্ষতি।