যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই মাসের মধ্যেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সাথে আলোচনার পরিকল্পনা করছেন। তাইওয়ান এবং বাণিজ্য বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে এমন আলোচনার ঘোষণা আসল।
জলবায়ু সংশ্লিষ্ট এক সফর শেষে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্য থেকে ফিরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বাইডেন বলেন, “আমার মনে হয় আমি আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট শি-র সাথে আলাপ করব।”
বহুদিন ধরে আলোচিত দুই নেতার মধ্যকার এই ফোনকলটি এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আসছে, যখন কিনা তাইওয়ানের মর্যাদা নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে। গত চার মাসে এটিই প্রথম এমন ফোনকল হতে যাচ্ছে। এছাড়াও আমেরিকার ভোক্তাদের উপর মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে বাইডেন প্রশাসন চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর শুল্ক হ্রাসের বিষয়টিও বিবেচনা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র চীনকে নিজেদের প্রধান কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করে। তারা বলে যে, দুই দেশের মধ্যকার জটিল সম্পর্কটি স্থিতিশীল রাখতে এবং সেটিকে অনিচ্ছাকৃতভাবে সংঘাতের দিকে মোড় নেওয়া থেকে থামাতে, উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত মাসে, চীনকে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে আখ্যায়িত করে একটি কৌশলগত নথি গ্রহণের জন্য নেটোকে চাপ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার বাইডেন সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মনে হয় যে, আগামী মাসে হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের যে পরিকল্পনার খবর পাওয়া গিয়েছে, সেটির বিষয়ে বাইডেন সন্দিহান রয়েছেন।
বাইডেন বলেন, “আমার মনে হয়, সামরিক বাহিনী মনে করে যে এই মুহুর্তে এটা ভাল বুদ্ধি নয়, কিন্তু সেটি কি অবস্থায় রয়েছে তা আমি জানিনা।”
মঙ্গলবার চীন বলে যে, চীনের দাবিকৃত ঐ দ্বীপটিতে পেলোসি সফর করলে চীন তাতে “শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে” সাড়া জানাবে। তারা আরও বলে, এমন সফর “চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতাকে গুরুতরভাবে অবমূল্যায়ন” করবে।
সফরটি অনুষ্ঠিত হবে কিনা সে বিষয়ে পেলোসির দফতর নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এই সফরের খবর প্রকাশ করেছিল এবং জানিয়েছিল যে এই বিষয়ে হোয়াইট হাউজ উদ্বেগ প্রকাশ করে।