আন্তর্জাতিক ডিজিটাল অধিকার গোষ্ঠীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তীব্র সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় কয়েক ডজন থাই গণতন্ত্র কর্মীকে পেগাসাস নামে পরিচিত বিতর্কিত ইসরাইলি স্পাইওয়্যারের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
দুই বছর আগে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে; হাজার হাজার মানুষ বৃহত্তর নাগরিক স্বাধীনতার এবং কঠোর লেস ম্যাজেস্ট আইনগুলো শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছিল। লেস ম্যাজেস্ট আইনগুলো রাজতন্ত্রের যেকোনো সমালোচনা প্রতিরোধ করে।
থাই গোষ্ঠী আই ল এবং ডিজিটাল রিচ-এর সাথে অংশীদারিত্বে কানাডার সাইবার নিরাপত্তা নজরদারি গোষ্ঠী সিটিজেন ল্যাবের প্রতিবেদন বলছে, প্রায় ৩০ জন অ্যাক্টিভিস্ট, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী এবং এনজিও কর্মী যারা মূলত নাগরিক অধিকার সংগঠনের সাথে কাজ করে, তাদের মোবাইল ডিভাইস হ্যাক করা হয়েছিল।
পেগাসাস সফটওয়্যার ইসরাইলি ফার্ম এনএসও গ্রুপ দ্বারা তৈরি, এটি ডেটা বের করতে পারে এবং একবার মোবাইল ডিভাইসে সফলভাবে অনুপ্রবেশ করলে ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন সক্রিয় করতে পারে।
প্রতিবেদনটি স্পাইওয়্যার ব্যবহারের পেছনে কারা ছিল তা নিশ্চিতভাবে বলেনি। তবে তারা জানিয়েছে, এনএসও গ্রুপ বলে যে, তারা কেবল সরকারের কাছে প্রযুক্তিটি বিক্রি করে।
একটি স্বাধীন তদন্তের পরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই হ্যাকিং-এর নিন্দা জানিয়েছে।
ইসরাইলি সফটওয়্যারটি ভিন্নমতাবলম্বীদের নজরদারি করার জন্য ব্যবহৃত হওয়ার সর্বশেষ ঘটনা।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপল এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা করছে। তাদের অভিযোগ, ওই ফার্মের স্পাইওয়্যার বিশ্বব্যাপী বেশ কয়েকটি আইফোনে অনুপ্রবেশ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল।