সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। এই সপ্তাহে প্রথম ভোটাভুটির মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচন শুরু হবে। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীর ভিড়ে বরিস জনসনকে প্রতিস্থাপনের প্রতিযোগিতা ক্রমশ অনিশ্চয়তা ও বিভাজন তৈরি করছে।
নিজ দলের আইনপ্রণেতা ও মন্ত্রীদের বিদ্রোহ এবং বেশ কয়েকটি কেলেঙ্কারির ঘটনায় বরিস জনসন পদত্যাগ করার পর এ পর্যন্ত কনজারভেটিভ দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য ১১ জন প্রার্থী আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
বুধবার প্রথম রাউন্ডের ভোটে অংশ নিতে হলে প্রার্থীকে দলের ৩৫৮ জনের মধ্যে অন্তত ২০ জনের মনোনয়ন পেতে হবে।
বৃহস্পতিবার আরেক দফা ভোটে ৩০টি ভোট না পেলে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়বেন প্রার্থীরা। প্রায় সব প্রার্থী সহকর্মীদের ভোট পেতে বিস্তৃত আকারে করের বোঝা কমানোর অঙ্গীকার করেছেন।
এই গ্রীষ্মে দুই চূড়ান্ত প্রার্থীর মধ্য থেকে কনজারভেটিভ দলের প্রায় দুই লাখ সদস্যদের ডাক-যোগে দেওয়া ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে, কে দলের ও দেশের পরবর্তী নেতা হবেন।
কনজারভেটিভ দলের নিজস্ব ওয়েবসাইটে সোমবার পরিচালিত এক সমীক্ষায় জানা গেছে, সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছেন সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পেনি মরদোঁ। পরের দুইটি স্থানে আছেন সমতা বিষয়ক মন্ত্রী কেমি বাদেনক ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক।
নতুন নেতা যিনিই হন না কেনো, তার জন্য অপেক্ষা করছে কনজারভেটিভ দলের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনার কঠিন কাজ। সাভান্তা কমরেস পরিচালিত এক সমীক্ষায় জানা গেছে, বিরোধীদল লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা ৪৩ শতাংশ, যার বিপরীতে কনজারভেটিভ দলের সংখ্যাটি ২৮ শতাংশ।
বিভিন্ন প্রার্থীর দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে লেবার পার্টির নেতা কের স্টার্মার ‘কাল্পনিক অর্থনীতির প্রতিযোগিতা’ বলে অভিহিত করেন। তিনি দাবি করেন, তাদের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির মূল্যমান ২৩৯ বিলিয়ন ডলারের জন্য কোনো তহবিল নেই।
বরিস জনসন কোনো প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।