সৌদি আরবের কাছে আক্রমনে ব্যবহারযোগ্য অস্ত্র বিক্রির উপর যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সম্ভব্য প্রত্যাহার নিয়ে, বাইডেন প্রশাসনে আলোচনা চলছে। তবে, পার্শ্ববর্তী দেশ ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধের অবসানে সৌদি আরবের উদ্যোগের অগ্রগতির ওপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে অবহিত চারজন ব্যক্তি এমন তথ্য জানিয়েছেন।
আরব অঞ্চলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দেশগুলোতে, কেবল প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র বিক্রির যে নীতি যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে, তা থেকে সরে আসার জন্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রিয়াদ ও ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত কয়েকটি বৈঠকে, সৌদি আরবের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা তার যুক্তরাষ্ট্রের সমপক্ষ কর্মকর্তাকে চাপ দিয়েছেন। এ সপ্তাহে, জো বাইডেন সৌদি আরব সফরের যাচ্ছে। তিনটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভ্যন্তরীণ আলোচনা অনানুষ্ঠানিক ও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং এ বিষয়ে আশু কোন সিদ্ধান্ত হবে না বলে, দুইটি সূত্র জানিয়েছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, আক্রমণে ব্যবহারযোগ্য অস্ত্রের বিষয়ে “এই মুহুর্তে” সৌদিদের সাথে কোন আলোচনা চলছে না।
তবে, যেহেতু বাইডেন কূটনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর এই সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সে কারণে তিনি আভাস দিয়েছেন যে, সৌদি আরবের সাথে টানটান সম্পর্কটির উন্নতি চান তিনি। একই সময়ে, বাইডেন আরব দেশগুলো থেকে তেলের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে এবং ইরানকে মোকাবেলা করতে, ইসরাইলের সাথে আরব দেশগুলোর নিরাপত্তা সম্পর্কের উন্নতি করতে চাচ্ছেন।
এই বিষয়ে অবহিত ওয়াশিংটনে অবস্থানকারী এক ব্যক্তি জানান যে, সৌদি আরবের ওপর আরোপিত অস্ত্র বিধি-নিষেধের সম্ভাব্য প্রত্যাহার নিয়ে, প্রশাসনে অভ্যন্তরীণ আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি এ ইঙ্গিতও করেন যে, আলোচনা এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সৌদি সরকার কোন সাড়া দেয়নি।
তবে সূত্রগুলো জোর দিয়ে বলেছে যে, ১৩-১৬ জুলাইয়ে, বাইডেনের আসন্ন সফরকালে, এ নিয়ে কোন ঘোষণার বিষয়ে আশা করা হচ্ছে না। ঐ সফরের সময় বাইডেন ইসরাইল ও পশ্চিম তীরে যাত্রাবিরতি করবেন।