বরিস জনসন বৃহস্পতিবার তার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন, তবে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হ্ওয়া অবধি তিনি স্বপদে তত্ত্বাবধায়ক নেতা হিসেবে থাকছেন। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ব্রিটিশ নেতার সন্ধান শুরু হয়েছে।
নেতৃত্ব গ্রহণের প্রার্থীর সংখ্যা অনেক হতে পারে এবং তাদের অন্য রক্ষণশীল আইন প্রণেতাদের দ্বারা মনোনীত হতে হবে। তাদের কতজনের মনোনয়ন লাগবে তা প্রতিযোগিতা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কমিটি নির্ধারণ করবে। ২০১৯ সালে প্রক্রিয়াটিকে গতিশীল করার জন্য মনোনয়ন সংখ্যা আটটিতে উন্নীত করা হয়েছিল।
রক্ষণশীল আইন প্রণেতারা তারপর এ সংখ্যা থেকে ছাঁটাই করতে কয়েক দফা ভোট দেবেন। প্রতিবার তাদের একটি গোপন ব্যালটে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে বলা হয় এবং সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া ব্যক্তিকে বাদ দেওয়া হয়।
এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করা হয় যতক্ষণ না দুইজন প্রার্থী বাকি থাকে। ভোট আগে প্রতি মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হত, তবে ২১শে জুলাই সংসদ তার ছয় সপ্তাহের গ্রীষ্মকালীন অবকাশের জন্য বিরতি দেবে তাই প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করতে হতে পারে।
তারপর চূড়ান্ত দুই প্রার্থীকে বৃহত্তর কনজারভেটিভ পার্টি সদস্যদের দ্বারা পোস্টাল ব্যালটে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকতে হয় এবং যিনি বিজয়ী হন তিনিই হন নতুন নেতা।
হাউজ অফ কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হলেন কার্যত প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর তাৎক্ষণিক নির্বাচন ডাকার ক্ষমতা রয়েছে তবে সেটি তাঁর করতেই হবে, এমন নয়।
নেতৃত্ব প্রতিযোগিতার সময়কাল পরিবর্তিত হতে পারে, এটি নির্ভর করে কতজন ব্যক্তি এই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আসছেন। ২০১৬ সালে ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করার তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে টেরেসা মে নেতা হয়েছিলেন এবং অন্যান্য সমস্ত প্রতিযোগী প্রতিদ্বন্দ্বীতার মাঝমাঝি দিকে সরে দাঁড়ান।
জনসন ২০১৯ সালে টেরেসা মে এর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য কনজারভেটিভ সদস্যদের রান অফ ব্যালটে প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্টের মুখোমুখি হন এবং মে পদত্যাগ করার ইচ্ছা ঘোষণা করার দুই মাস পরে জনসন অফিস গ্রহণ করেন।
ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে কথা বলার সময়ে জনসন বলেন যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি পদে বহাল থাকবেন, তবে সংসদের কিছু রক্ষণশীল সদস্য অবিলম্বে অন্য কাউকে জনসনের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে দেখতে চান।