চীনে নতুন কোভিড-১৯ ক্লাস্টারগুলোর কারণে ব্যাপক বিধিনিষেধের আশঙ্কা হওয়ায় বুধবার চীন জুড়ে কয়েক মিলিয়ন মানুষ লকডাউনের অধীনে ছিল এবং একটি বড় পর্যটন শহরের ব্যবসাসমূহ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল।
চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ টেরাকোটা আর্মির আবাসস্থল উত্তরের ঐতিহাসিক শহর জিয়ানে ৩০০-রও বেশি সংক্রমণের খবর দিয়েছে । সাংহাই, বেইজিং এবং অন্যান্য অনেক জায়গায় নতুন ক্লাস্টার পাওয়া গেছে।
এই বছরের শুরুতে চীনের কঠোর জিরো কোভিড নীতির কারণে দেশটির কয়েক মিলিয়ন বাসিন্দা কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে থাকতে বাধ্য হয়েছিল। তখন আশা করা হয়েছিল যে, চীন সরকার তার কঠোর ভাইরাস নীতি থেকে দূরে সরে আসবে। কিন্তু এ প্রাদুর্ভাব সে আশাকে ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে।
নতুন এ প্রাদুর্ভাবের পরে কর্মকর্তারা সপ্তাহান্তে শহরের অর্ধেকের বেশি জেলায় গণপরীক্ষার নতুন পর্ব শুরু করেছেন।
জাপানি ব্যাংক নোমুরা অনুমান করেছে, সোমবার পর্যন্ত চীনের কমপক্ষে ১১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ দেশব্যাপী আংশিক বা সম্পূর্ণ লকডাউনের অধীনে ছিল, যা গত সপ্তাহে লকডাউনে থাকা মানুষের সংখ্যা ৬ কোটি ৬৭ লাখ থেকে আকষ্মিক বৃদ্ধি।
সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তিনি গত সপ্তাহে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ব্যয় সত্ত্বেও জিরো কোভিড কৌশলের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন।